কে এম মিঠু, গোপালপুর :
'এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে' প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে দীর্ঘ ৭০ বছর ধরে পতিত থাকা ১০ একর সরকারী খাস জমিতে দেশের বৃহৎ সূর্যমুখী ফুলের চাষ শুরু করেছে টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
জানা যায়, গোপালপুর পৌর শহরের ভুয়ারপাড়ায় দীর্ঘদিন ধরে অনাবাদি খাস জমিতে উপজেলা কৃষি অফিসকে চাষাবাদের পরামর্শ দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. পারভেজ মল্লিক।ইউএনওর পরামর্শ গ্রহণ করে এই সূর্যমুখী চাষের উদ্যোগ নেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামীমা আক্তার।
সরেজমিনে দেখা যায়, বপন করা বীজে চারা গজিয়ে প্রতিটি গাছ ৭/৮ ইঞ্চি লম্বা হয়ে ধীরে ধীরে দিগন্ত জোড়া মাঠ সবুজে ছেয়ে যেতে শুরু করেছে। এ ফসল পরিপক্ক হতে ৯০ থেকে ১১০ দিন প্রয়োজন হবে।
গত বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইলের নবাগত জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার দেশের এ বৃহৎ সূর্যমুখী ফুলের চাষ পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি এমন উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামীমা আক্তার বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পরামর্শে আমরা পতিত খাস জমিতে সূর্যমুখী চাষ করেছি। সূর্যমুখীর চাষ বাড়ালে তেল আমদানি খরচ কমে আসবে পাশাপাশি সৌন্দর্য বাড়লে মানুষের বিনোদনের ক্ষেত্র প্রস্তুত হবে। তিনি আরও জানান, সূর্যমুখী উৎকৃষ্ট তেল জাতীয় ফসল। সূর্যমুখীর বীজে শতকরা ৪০-৪৫ ভাগ উপকারী লিনোলিক এসিড রয়েছে এবং ক্ষতিকর ইরোসিক এসিড নেই। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সূর্যমুখীর ব্যাপক চাষ হয়।
ইউএনও মো. পারভেজ মল্লিক বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা বাস্তবায়ন করতেই দীর্ঘ ৭০বছর ধরে পতিত থাকা ১০ একর খাস জমি চাষাবাদের জন্য উপজেলা কৃষি অফিসকে পরামর্শ দেই। সে অনুযায়ী সফলতার দ্বারপ্রান্তে আমরা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী এক ইঞ্চি জমিও আমরা পতিত রাখবো না।
সম্পাদক : অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন | নির্বাহী সম্পাদক : কে এম মিঠু
প্রকাশক কার্যালয় : বেবি ল্যান্ড, বাজার রোড গোপালপুর, টাঙ্গাইল -১৯৯০, বাংলাদেশ।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত - ২০১৯-২০২৩