বিএনপির সমন্বয়কারী তরিকুল ইসলাম বলেছেন, ‘গত বছর ছিল দেশে গুম, খুন, হত্যা আর নির্যাতনের বছর। নতুন বছরে আন্দোলনে ভেসে যাবে সরকার।’ সোমবার সন্ধ্যায় দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শ্রমিক দল আয়োজিত সমাবেশে তিনি একথা বলেন।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। সমাবেশে ১৮দলীয় জোটের বৈঠকে নেয়া মাসব্যাপী আন্দোলন কর্মসূচি পড়ে শোনান তরিকুল। তিনি বলেন, সরকার অন্ধ হয়ে গেছে, কিছু দেখতে পায় না। সরকার বলছে, গত চার বছরে দেশ ও জনগণের অনেক উন্নতি হয়েছে। আসলে উন্নতি হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর আত্মীয়স্বজন, মন্ত্রী, এমপি আর যুবলীগ-ছাত্রলীগসহ দলীয় নেতাকর্মীদের। তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু জনগণের ভাগ্যেও কোন পরিবর্তন হয়নি’।
সরকার আবারো বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, বিএনপি আমলে মাত্র একবার ৩০ পয়সা বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছিল। কিন্তু এ সরকারের আমলে এ পর্যন্ত ছয়বার বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে। আবারো তারা দাম বাড়াতে চাইছে। বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হলে তার পরদিনই হরতালে হুঁশিয়ারি দেন তিনি। মানুষ এখন পরিবর্তন চায় উল্লেখ করে সরকারের উদ্দেশ্যে তরিকুল ইসলাম বলেন, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন। জনগণ ভোট দিলে আবার ক্ষমতায় আসবেন। কিন্তু দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করে আবার ক্ষমতায় আসার খায়েশ পূরণ হবে না।
বিশ্বজিৎ-সাগর-রুনি হত্যা, হলমার্ক-ডেসটিনিসহ সরকারের বিভিন্ন কর্মকান্ডের কঠোর সমালোচনা করে সভাপতির বক্তব্যে নজরুল ইসলাম বলেন, এ সরকার প্রথমে সব অস্বীকার করলেও পরে সব স্বীকার করে। বিশ্বজিৎকে ছাত্রলীগ হত্যা করেছে তা অস্বীকার করলেও হত্যাকারীরাই স্বীকার করেছে। তারা ছাত্রলীগের কর্মী এবং নেতাদের নির্দেশে তারা এ কাজ করেছে। পদ্মা সেতুতে দুর্নীতি না হলে দুদক সাতজনের বিরুদ্ধে কেন মামলা করেছে তা সরকারের কাছে জানতে চান তিনি। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে দলের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক জাফরুল হাসান, অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সালাম, শ্রমিকদল নেতা নাসির, ফয়েজ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।