মো. শামসুল আলম চৌধুরী
সেই রাত ছিল ২৯ এপ্রিল ২০২২ শুক্রবার। রাত আনুমানিক সাড়ে নয়টা।
গোপালপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী পিংনা বাজারে কাল বৈশাখী ঝড়ে আমরা কয়েকজন। দু’চোখ মেলে ঝড়ের তান্ডব প্রত্যক্ষ করছিলাম। গাছের ডাল পালা উড়িয়ে নেওয়া, টিনের চালের উলম্ফন, হাজার হাজার কাচা আমের বৃন্তচ্যুত, গাছ পালা উপড়ে পড়া এসকল তান্ডব চোখের সামনেই ঘটে যাচ্ছিলো। যার সাথে ১৯৯৬ সনের ১৩ই মে টর্নেডোর ভয়াল স্মৃতির মিল খুজছিলাম।
ভীত সন্ত্রস্ত সবাই আল্লাহকে স্মরণ করছিলাম।
পিংনায় আমাদের আশ্রয়স্থলের দোকানদার সেও খুবই উচ্চস্বরে আল্লাহ্কে ডাকছিলো। মামাতো ভাই গগন প্রফেসর একটু ধমকের সুরেই বললো, “হুহ, সারাজীবন কখনো আল্লাহ রাসুলের নাম নিস নাই, ঠেলায় পড়ে এখন ডাকছো? এখন কেন, মজা বুঝো, এবার থেকে ঠিক হবা”। সাথে সাথে দোকানদার চুপসে গেল। এই বিপদেও আশ্রিতদের মুখে হাসির রেখা ফুটে উঠলো।
আর সেই ১৩ই মে ১৯৯৬ সনের ভয়াল স্মৃতি মনে পড়লে আজো গা শিউরে উঠে। তখনকার অনেক গল্প ও অভিজ্ঞতার কথা শুনেছি অনেকের মুখে।
ঝড়ের তান্ডব নিয়ে মিঠুর লেখনীতে আরো কিছু এলাকা যোগ হলে বিস্তৃতি বুঝা যেত। গোপালপুর উপজেলার ঝাওয়াইল, মোহাইল, কাহেতা, সোনামুই, বাসুরিয়া, হরিসা ও ডাকুরী এসব এলাকাতেও দানব কান্ড চলছিলো। শ্যালো মেশিন উপড়ে ফেলা, মানুষের ঘরের চাল গাছের ডালে ঠাই মেলা, কানের পিছনে ফুটো হয়ে ধান গাছ ঢুকে পড়া (!) এসকল অবিশ্বাস্য হলেও সত্য। তাই সেই দিনটিকে আজো মনে পড়ে।
স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্য স্নেহাস্পদ এ প্রজন্মের সাংবাদিক কে এম মিঠুকে আন্তরিক ধন্যবাদ।
লেখক পরিচিতি :
মো. শামসুল আলম চৌধুরী
অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা, চৌধুরী বাড়ি, ডাকুরী, গোপালপুর, টাঙ্গাইল।