দেশের দ্বিতীয় বৃহতম স্থলবন্দর হিলি। ভৌগলিক অবস্থানের দিক দিয়ে হিলি স্থলবন্দর দেশের সুবিধাজনক স্থানে হওয়ায় আমদানীকারক ব্যাবসায়ীরা এ বন্দর দিয়ে ব্যাবসা করতে সাচ্ছন্দবোধ করেন। আর এ কারনে এবার চলতি অর্থ বছরের ৬ মাসেই জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কতৃক বেঁধে দেওয়া রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় দ্বিগুন রাজস্ব আয় করে হিলি স্থলবন্দর। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের সাথে হিলি স্থলবন্দরের যোগাযোগ সহজ হওয়ায় ও যমুনা সেতু হওয়ার পর হিলি স্থলবন্দর থেকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলার সাথে সড়ক পথে যোগাযোগ ভালো হওয়ার কারনে দিনদিন এ বন্দর দিয়ে ব্যবসা ভালো হতে থাকে।
হিলি স্থলবন্দর থেকে ফলমুলসহ কাঁচা পন্যবাহী ট্রাক সড়ক পথে ঢাকায় পৌঁছাতে ৫ থেকে ৬ ঘন্টা সময় লাগে। এ ছাড়াও বন্দর এলাকায় মধ্যেই বেশ কয়েকটি ব্যাংক ও সন্ত্রাসী, চাদাবাদী, ছিনতাইকারী না থাকায় ব্যাবসায়ীরা নির্ভয়েই ব্যাংকে লেনদেন করতে পারেন। আমদানী করা পন্য বেচা-কেনার জন্য উত্তরাঞ্চলের মধ্যে এটি একটি বড় মোকাম। আর এ কারনেই আমদানীকারক ব্যাবসায়ীরা এ বন্দর দিয়ে ভারত থেকে পন্য আমদানী করতে বেশী পছন্দ করেন। শুধু আমদানীই নয় এ বন্দর দিয়ে রপ্তানীও বেড়ে গেছে কয়েকগুন।
এবারে চলতি অর্থ বছরে এ বন্দরে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৫৫ কোটি টাকা। তার মধ্যে জুন থেকে ডিসেম্বর ৬ মাসেই এ বন্দর রাজস্ব আয় হয়েছে ৮৫ কোটি টাকা।
হিলি স্থলবন্দর কাষ্টম সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল ইসলাম সিডি নিউজকে জানান, হিলি স্থলবন্দর রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত হওয়ায় ব্যবসায়ীরা এই বন্দরের প্রতি ঝুঁকে পড়ছে। এ বন্দরের গুরুত্ব ভেবে ভারত সরকার হিলি স্থলবন্দর থেকে সে দেশের বিভন্ন রাজ্যের সাথে যোগাযোগের জন্য রাস্তা চার লেনে প্রশস্ত করন এবং এ বন্দর দিয়ে আমদানী-রপ্তানী ব্যাবসা আরো তরান্বিত করার করতে হিলি স্থলবন্দর থেকে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের সাথে যোগাযোগের জন্য ইতি মধ্যেই রেলপথ সংযোযনের কাজ শুরু হয়েছে। আবার এ বন্দর দিয়ে আগের তুলনায় বর্তমানে আমদানীর সাথে রপ্তানীর পরিমানও বেড়ে গেছে।
সিএন্ডএফ এজেন্ট এ্যসোসিয়েসনের সভাপতি আবুল কাশেম আজাদ সিডি নিউজকে জানান, হিলি স্থলবন্দর থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলার যোগাযোগ ভালো হওয়ায় আমদানীকারকদের আমদানীকৃত ফলমূলসহ কাঁচা পন্য নষ্ট বা পঁচে না এবং বাজার ধরতে পারার কারনে তারা আর্থিক ক্ষতিগ্রস্থও না। সে কারনে আমদানী-রপ্তানীকারক ব্যাবসায়ীরা এ বন্দও ব্যবহাওে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। তাই হিলি স্থলবন্দর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে দ্বিগুন রাজস্ব আয় করেছে।