আগামী দু-একদিনের মধ্যেই আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত হবে। গঠনতন্ত্রে তেমন কোন পরিবর্তন না করায় কমিটি আগের মতই ৭৩ সদস্য বিশিষ্ট থাকছে।
দলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ একথা জানিয়ে বলেন, আওয়ামী লীগ যে একটি বৃহৎ গণতান্ত্রিক দল তা এবারের সম্মেলনের মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয়েছে।
২৯ ডিসেম্বর শনিবার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হলেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন হয়নি। কাউন্সিলররা পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের ক্ষমতা অর্পণ করেছেন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা এবং দ্বিতীয় বারের মত নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের ওপর।
কবে নাগাদ আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন হবে এবং এবারের সম্মেলনের প্রাপ্তি সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, সুশৃংখল দৃষ্টিনন্দন এবং শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনের অর্জন নানাভাবেই এবার বিবেচনার দাবি রাখে। সম্মেলনের সাফল্যও অনেক।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বরাবরেই গণতন্ত্রে বিশ্বাসী ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন দল। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই জাতীয় সম্মেলন শেষ হয়েছে। কাউন্সিলররা ভোটের মাধ্যমে দলটির নেতা নির্বাচন করেছেন। এতে গণতন্ত্রের প্রতি দলের আস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, এই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে সংগঠন আরো গতিশীল হবে। ভবিষ্যতে আগামী জাতীয় নির্বাচনসহ সকল অর্জনের পথে সংগঠনকে এগিয়ে নিতে এই সম্মেলন ভূমিকা রাখবে।
তিনি বলেন, দৃষ্টিনন্দন সুশৃংখল এবং শান্তিপূর্ণ এই সম্মেলনের মাধ্যমে দলের নেতা-কর্মীরা তাদের ঐক্য প্রমাণ করেছেন। তৃণমূল থেকে কেন্দ্র সবাই নির্বাচনী প্রস্তুতি হিসেবে দলকে আরো সংগঠিত করার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেছেন। সম্মেলন আগামী নির্বাচন এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন করার ব্যাপারে বিরাট অবদান রেখেছে।
এছাড়াও এই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে কেন্দ্র এবং তৃণমূল নেতা-কর্মীদের নৈকট্য আরো বেড়েছে বলে উল্লেখ করেন মাহবুব-উল আলম হানিফ। নতুন কমিটি আগামী জাতীয় নির্বাচনে দলকে আবারো সাফল্যের পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।