অনেকটা নীরবে শেষকৃত্য সম্পন্ন হল দিল্লিতে যাত্রীবাহী বাসে গণধর্ষিতার শেষকৃত্য। শোকস্তব্ধ গোটা ভারত৷
সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, বিশেষ বিমানে সিঙ্গাপুরের হাসপাতাল থেকে রোববার ভোরে দেহ এসে পৌঁছয় দিল্লি বিমানবন্দরে৷
বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ ও কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী৷
মনমোহন এবং সনিয়া মৃত ছাত্রীর পরিবারকে সমবেদনা জানান৷
পুলিশি নিরাপত্তায় ছাত্রীর দেহ তাঁর বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়৷ শেষকৃত্যের সময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আর পি এন সিংহ, পশ্চিম দিল্লির বিধায়ক মহাবল মিশ্র, বিজেপি নেতা বিজেন্দ্র গুপ্ত প্রমুখ৷
চরম অত্যাচারের শিকার মেয়েটির ১৩ দিনের বাঁচার লড়াইয়ে শামিল হয়েছে গোটা ভারত তাঁর আরোগ্য কামনা করে মোমবাতি মিছিল হয়েছে দেশের নানা প্রান্তে। তাকে কেন্দ্র করেই ধর্ষণের বিরুদ্ধে কড়া সাজার দাবি আছড়ে পড়েছে রাজধানীর রাজপথে৷
ধর্ষণের উপযুক্ত সাজা কি মৃত্যুদণ্ড, এই প্রশ্নও সামনে চলে এসেছে ফের একবার৷ কাল রাতে তাঁর দেহ দেশে নিয়ে আসার পরও তাঁর সমব্যথীরা রাত জেগেছেন। যন্তরমন্তরে রাতভর বিক্ষোভ হয়েছে তাঁর জন্য৷
সেখানে ধর্ষণের শাস্তি নিয়ে আইন সংশোধনের দাবিতে কারও মুখে ছিল প্রতিবাদী স্লোগান, কারও হাতে প্ল্যাকার্ড৷ চোখের জল আর তাঁর মতো নির্যাতিতাদের জন্য ন্যায়বিচারের দাবিতে স্লোগান মিলেমিশে গিয়েছে রাজধানীর বাতাসে৷
রোববার ছুটির দিনেও বিক্ষোভ-অবস্থান, ধরনা চলার কথা। এর পাশাপাশি তাঁর আত্মার শান্তি কামনায় যজ্ঞ, প্রার্থনাও করেছেন বহু মানুষ৷