কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, দেশের মানুষকে ‘মুক্ত’ করতে আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে সরকারবিরোধী আন্দোলন শুরু করবেন তিনি। শনিবার রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় কাদের সিদ্দিকী বলেন, “আগামী বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি কৃষক-শ্রমিক জনতা লীগের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের পর আন্দোলনে নামবো।
যতদিন পর্যন্ত এ দেশের মানুষকে মুক্ত করতে না পারবো ততোদিন ঘরে ফিরবো না।” কৃষক- শ্রমিক জনতা লীগের ১৩ বছর পূর্তি উপলক্ষে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে আয়োজিত ওই আলোচনা সভায় নিজের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, “আমার দল গরীব মানুষের দল। আমার উদ্দেশ্য জনগণের রাজনীতি জনগণকে ফিরিয়ে দেয়া। আর এ জন্য আমি সংগ্রাম করতে চাই।” “আওয়ামী লীগ গরীব মানুষের দল হয়ে জন্ম নিয়েছিল।
তাই আমি আওয়ামী লীগের মধ্য দিয়ে মানুষের মুক্তির কথা চিন্তা করেছিলাম।পরবর্তীতে আমি আওয়ামী লীগ ছেড়েছি, কারণ তারা লুটেরাদের দলে পরিণত হয়েছে।” জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আব্দুর রব বলেন, “আওয়ামী লীগ যুদ্ধাপরাধের বিচারের নামে নির্বাচনী চাল চালছে।এ আমলে আওয়ামী লীগ এ বিচার করতে পারবে না। আগামী নির্বাচনে জনগণের সামনে বিচার শেষ করার প্রতিশ্রুতি তুলে ধরবে।
” দেশে মুক্তিযোদ্ধা দিবস ঘোষণারও দাবি জানান মুক্তিযুদ্ধের এই সংগঠক। আগামী ৯ ফেব্রুয়ারির পর কাদের সিদ্দিকীর সঙ্গে আন্দোলনে নামার ঘোষণা দিয়ে জাসদ নেতা রব বলেন, “১৯৭১ সালের মতো আরেকটা যুদ্ধ চাই। মূর্খরা দেশ চালাচ্ছে। দেশটাকে মগের মুলুকে রূপান্তরিত করেছে।” আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে জাতীয় পার্টির নেতা কাজী ফিরোজ রশীদ, এলডিপির মেজর (অব) আব্দুল মান্নান, ব্যারিস্টার রফিক উল হক, গণফোরাম নেতা ড. কামাল হোসেন ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।