বর্তমান সরকারের মেয়াদকালেই দেশের দারিদ্র্যতা ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশে কমিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর যুদ্ধবিধ্বস্ত অবস্থা থেকে আমরা অনেক দূর এগিয়েছি। বর্তমানে আমাদের দেশে দারিদ্র্যতার হার শতকরা ৩০ শতাংশ। তবে আমরা এটা আমাদের মেয়াদকালেই কমিয়ে ২০ শতাংশ করব।
শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধ সংহতি পরিষদের আলোচনা সভায় অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে দারিদ্র্যমুক্ত দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা হবে বলেও দাবি করেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্বে বাংলাদেশ একটি উদীয়মান অর্থনীতির দেশ। কিন্তু এক শ্রেণীর রাজনীতি বিদ্বেষী মানুষ এটা স্বীকার করে না। বিদেশিরা বললে তারপর তারাও বলতে শুরু করেন।’
সরকারের বিভিন্ন সফলতা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমরা দেশের সকল শিশুকে মৌলিক শিক্ষা দেবার ব্যবস্থা করেছি। সবার কাছে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছাবার চেষ্টা করছি। শিশুমৃত্যৃর হার অনেক কমেছে। আমরা দেশের বেকার সমস্যার সমাধান করতে সক্ষম হয়েছি।’
যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রসঙ্গে মুহিত বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নতুন কিছু নয়। কিন্তু আমাদের স্বাধীনতার সময়ে দুটি পরাশক্তি পৃথিবী শাসন করতো। সে সময় আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে পারিনি। এরপর এই বিচার কাজ শুরু হলেও জিয়াউর রহমান তা বন্ধ করে দিয়েছিলেন। এখন আবার এই বিচার কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু এই বিচার বন্ধেরও ষড়যন্ত্র চলছে।
কিছু চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকাজ শেষ হওয়ার পরেও এই বিচার প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘আমরা শুধু একটি স্বাধীন ভূ-খণ্ডের জন্যে দেশ স্বাধীন করিনি। আমরা চেয়েছিলাম একটি সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। কিন্তু স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্যে দিয়ে বারবার দেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার ষড়যন্ত্র হয়েছিল।’
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজ শুরু করেছে। যারা ’৭১- এ হত্যা, খুন, ধর্ষণ করেছিল, তাদেরকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছি। কিন্তু দেশি-বিদেশি ও আন্তর্জাতিক একটি মহল এই বিচার বাধাগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্র করছে।
তোফায়েল আহমেদ সবাইকে এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।
ডেপুটি স্পিকার শেখ শওকত আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ সংহতি পরিষদের নেতারাও বক্তব্য রাখেন।