একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় পলাতক আবুল কালাম আযাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকারের বিচারের রায় যে কোনো দিন ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।
বুধবার ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে তিন সদেস্যের ট্রাইব্যুনালে উভয়পক্ষের আইনজীবীদের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায়টি সিএভিতে রেখে দেন।
আজ এ মামলায় আইনি পয়েন্টে যুক্তি উপস্থাপন করেন প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী। এরপর আসামিপক্ষের সরকার নিযুক্ত আইনজীবী আব্দুর শুকুর খান তার যুক্তি উপস্থাপন শেষ করেন।
প্রসিকিউটর সাহিদুর রহমান পরে সাংবাদিকদের বলেন, আযাদের বিরুদ্ধে মোট ৮টি অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছিল- সে বিষয়ে আমরা সাক্ষী-প্রমাণ উপস্থাপন করেছি এবং তার অপরাধ প্রমাণে সক্ষম হয়েছি।
তিনি বলেন, আবুল কালাম আজাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকারের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণে প্রয়োজনীয় সাক্ষ্য ও তথ্য-প্রমাণ পেশ করে আইনগত যুক্তি উপস্থাপন করা হয়েছে। যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে প্রসিকিউটর তার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তি কামনা করেন।
গত বছরের ২২ মার্চ চিফ প্রসিকিউটরের মাধ্যমে আযাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারের আবেদন জানালে ট্রাইব্যুনাল তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। এরপর থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন এবং পলাতক অবস্থায় তার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
এরআগে তার বিরুদ্ধে জব্দ তালিকার সাক্ষীসহ মোট ২২ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। রাষ্ট্র নিযুক্ত (ডিফেন্স ল’ইয়ার) আইনজীবী তাদের জেরাও শেষ করেন।
গত ৪ নভেম্বর আযাদের বিরুদ্ধে ৮টি সুনির্দিষ্ট ঘটনায় অভিযোগ গঠন করা হয়। ট্রাইব্যুনালে তার বিরুদ্ধে ১০টি ঘটনায় ২২টি অভিযোগের ভিত্তিতে মোট ৪৪৮ পৃষ্ঠার অভিযোগ দাখিল করা হয়।
৭ অক্টোবর ট্রাইব্যুনাল আবুল কালাম আযাদের অনুপস্থিতিতে বিচার শুরুর আদেশ দিয়ে তার পক্ষে আইনি লড়াই করতে সরকারের খরচে মো. আব্দুস শুকুর খানকে আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ দেয়।
গত ২৬ জুলাই তদন্তসংস্থার বিরুদ্ধে তদন্ত কাজ শেষ করে তদন্ত প্রতিবেদন প্রসিকিউশনের কাছে জমা দেয়।