মিশর গণভোটের ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে দেখা যাচ্ছে- শতকরা ৬৩.৮ ভাগ হ্যাঁ ভোট পড়েছে আর শতকরা ৩৬.২ ভাগ পড়েছে নতুন সংবিধানের বিপক্ষে। ফলে, বিপুল ভোটের ব্যবধানে দেশটির জন্য নতুন সংবিধান চূড়ান্তভাবে অনুমোদিত হলো। মিশরের গণভোটের ফলাফল
ঘোষণা করেছেন দেশটির নির্বাচন কমিশনের প্রধান বিচারপতি সামির আবু আল-মা’তি। এ ফলাফলের পর মিশরের জন্য ইসলামি ভাবধারার নতুন একটি সংবিধান তৈরি হলো। এ সংবিধানে বলা হয়েছে- এখন থেকে মিশরের জন্য সমস্ত আইনের উতস হবে ইসলামি শরিয়া এবং আরবি হবে মিশরের রাষ্ট্রভাষা। গত ১৫ ও ২২ ডিসেম্বর দু’দফায় এ নির্বাচন হয়। এ ছাড়া, তার আগে প্রবাসী মিশরীয়রাও গণভোটে অংশ নিয়েছে।
গত বছর মিশর বিপ্লব সফল হওয়ার পর এটাই দেশটির জন্য প্রথম সংবিধান। এর আগে, সাবেক স্বৈরশাসক হোসনি মুবারকের আমলে মিশরে এ ধরনের জনপ্রতিনিধিত্বমূলক সংবিধান ছিল না।
এদিকে, মিশরের সরকার-বিরোধীরা গণভোটের ফলাফল মেনে নিতে অস্বীকার করেছে। তারা বলেছে, এ ফলাফলকে তারা আদালতে চ্যালেঞ্জ করবে। এ ছাড়া, ইসলামি ভাবধারার সংবিধানের ফলে তাদের কথিত স্বাধীনতা খর্ব হবে বলে তারা অভিযোগ করছে।
দেশটিতে ইসলামপন্থী ইখওয়ানুল মুসলিমিন দল ক্ষমতায় রয়েছে।