পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় বিদায়ী ভিসি অধ্যাপক ড. সৈয়দ শাখাওয়াত হোসেন ও রেজিস্ট্র্রার নওয়াব আলীসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। সোমবার দুপুরে “দৈনিক সংবাদের” পটুয়াখালী প্রতিনিধি নিখিল চ্যার্টাজি জেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা করেণ।
মামলা অন্য অভিযুক্তরা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. জালাল মৃধা, সেকশন অফিসার সাইদুর রহমান জুয়েল, সিনিয়র সহকারী রেজিস্ট্রা মো. সোহাগ, উপাচার্যের একান্ত সহকারী আসাদুজ্জামান মুন্না, কীট তত্ত্ববিভাগের প্রভাষক মো. জুয়েল হাওলাদার এবং গাড়ির চালক আবদুর কুদ্দুস মোল্লা।
মামলাটি আমলে নিয়ে আদালত গোয়েন্দা পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার পরবর্তী তারিখ আগামী মাসের ৩০ জানুয়ারি ধার্য করা হয়েছে।
মামলার আরজিতে বাদী নিখিল চ্যাটার্জি বলেন, পবিপ্রবি’র বিদায়ী উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ শাখাওয়াত হোসেনের কর্মকান্ড নিয়ে গত ১৮ ডিসেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে অডিটরিয়ামে এক মতবিনিময় সভা আয়োজন করা হয়। সভায় অংশ নিতে পটুয়াখালীর সাংবাদিকদের আমন্ত্রণ জানানো হয়।
সভার শুরুতেই উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ শাখাওয়াত হোসেনের কর্মকালীন চার বছরের সফল্য পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়।
এরপর সভার সঞ্চালক অধ্যাপক আ ক ম মোস্তফা জামান সভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে উপস্থিত সাংবাদিক ও সুধিজনদের কাছ থেকে প্রশ্ন আহ্বান করেন। প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নিয়ে সাংবাদিক নিখিল চ্যাটার্জি রেজিস্ট্রার পদে মো. নওয়াব আলীর নিয়োগের বৈধতা, ভিসি অধ্যাপক ড. সৈয়দ শাখাওয়াত হোসেনের শেষ কর্মদিবসের এক সপ্তাহ আগ পর্যন্ত শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদরে বিভিন্ন পদে গণহারে পদায়ন, নিয়োগের বিষয়ে জানতে চাইলে সভায় উপস্থিত পবিপ্রবি‘র শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তার ওপর ক্ষিপ্ত হন এবং ভিসি অধ্যাপক ড. সৈয়দ শাখাওয়াত হোসেন ও রেজিস্ট্রার নওয়াব আলী’র নির্দেশে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য বর্তমানে পবিপ্রবির সেকশন অফিসার (খন্ডকালীন) মো. আতাউর রহমানের নেতৃত্ব হামলা করেন।
এ সময় হামলাকারিদের কবল থেকে নিখিল চ্যাটার্জিকে রক্ষার্থে এগিয়ে এলে “ডেইলি স্টারের” প্রতিনিধি অ্যাডভোকেট মো. সোহরাব হোসেন, “ইত্তেফাকের” বাউফল প্রতিনিধি আমিরুল ইসলামকেও লাঞ্ছিত করা হয়।
প্রসঙ্গত, অধ্যাপক ড. সৈয়দ শাখাওয়াত হোসেন ২০০৮ সালের ২১ ডিসেম্বর পবিপ্রবি‘র ভিসিপদে যোগদান করেন এবং চার বছর মেয়াদ পূর্তিতে গত ২০ ডিসেম্বর দায়িত্ব হতে অব্যাহতি নিয়ে তার পূর্বের কর্মস্থল ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে যান।