ভারত সফরে শুভ সূচনা করেছে পাকিস্তান। শ্বাসরুদ্ধকর প্রথম টি-২০ ম্যাচে তারা ৫ উইকেটে স্বাগতিক ভারতকে পরাজিত করে। নির্ধারিত ২০ ওভারে ভারতে করা ৯ উইকেটে ১৩৩ রানের জবাবে পাকিস্তান ২বল হাতে রেখে ৫ উইকেটে লক্ষ্যে পৌঁছে যায়।
১৩৪ রানে জয়ের লক্ষ্যে পাকিস্তানের শুরুটা অবশ্য ভাল হয়নি। শুরুতেই আঘাত হানে নবাগত ভুবনেশ্বর কুমার। দলীয় ২ রানে মাথায় কুমার বলে নাসির জামসেদ উইকেট হারিয়ে সাজ ঘরে ফেরে। অপর ওপেনার আহমেদ শেহজাদ ৫ রান করে একই বোলারের বলে আউট হলে চাপে পড়ে যায় পাকিস্তান। এখানেই শেষ নয়, দলীয় ১২ রানে আবারো আঘাত হানে ভুবনেশ্বর কুমার। ওমর আকমল কিছু বুঝে উঠবার আগেই তার উইকেট উপড়ে দেয় ভুবনেশ্বর কুমার। ১২ রানে ৩ উইকেট পড়ে যাবার পর ৪র্থ উইকেটে দলনায়ক হাফিজ ও শোয়েব মালিক নতুন করে ইনিংসটাকে গড়বার চেষ্টা করে। এই জুটি ঠান্ডা মাথায় খেলে রানের চাকাকে সচল রাখার মাধ্যমে দলকে পুনরায় খেলায় ফিরিয়ে আনে। ১৫ ওভারে এই জুটির তৎপরতায় উঠে ৯৯ রান। দলীয় ১১৮ রানে ৬১ রান করে ইশান্ত শর্মার বলে আউট হয় মো: হাফিজ। ১২৩ রানের মাথায় কামরান আকমলের আউট খেলায় উত্তেজনা বাড়িয়ে দেয়। শেষ ওভারে পাকিস্তানের জয়ের জন্য প্রয়োজন হয় ১০ রান। শেষ ওভারে শোয়েব মালিক ছক্কা মেরে পাকিস্তানকে জয় এনে দেয়। মালিক শেষ পর্যন্ত ৫৭ রানে অপরাজিত থাকে। এর আগে ব্যাঙ্গালোরের এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেটে ১৩৩ রান করে ভারত। ব্যাট করতে নেমে অজিঙ্কা রাহানের সঙ্গে গৌতম গম্ভীরের ৭৭ রানের উদ্বোধনী জুটি ভারতকে ভালো সূচনা এনে দেয়। ৩১ বলে ৫টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৪২ রান করে রাহানে শহীদ আফ্রিদির বলে উমর আকমলের হাতে ধরা পড়লে অতিথিদের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠা উদ্বোধনী জুটি ভাঙে। এক পর্য্যায়ে স্বাগতিকদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৯০/১।
রান আউট হয়ে গম্ভীরের (৪৩) বিদায়ের মধ্য দিয়ে ভারতের বিপর্যয়ের শুরু। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানোয় ভালো শুরুর সুবিধা কাজে লাগাতে পারেনি ভারত। দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানের পর যুবরাজ সিং (১০) ও সুরেশ রায়না (১০) ছাড়া স্বাগতিকদের আর কোনো ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কের কোঠায় পৌঁছতে পারেননি। ২১ রানে ৩ উইকেট নিয়ে উমর গুল পাকিস্তানের সেরা বোলার। অফস্পিনার সাঈদ আজমল ২ উইকেট নেন ২৫ রানে। ভারতের পে অভিষেক হয়েছে ভুবনেশ্বর কুমারের। বাদ পড়েছেন তিন ফরম্যাটেই নিয়মিত খেলোয়াড় রবিচন্দ্রন অশ্বিন। পাকিস্তানের পে অভিষেক হয়েছে দীর্ঘদেহী পেসার মোহাম্মদ ইরফানের। সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচ ২৮ ডিসেম্বর আহমেদাবাদে।