আজ || বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩
শিরোনাম :
  গোপালপুরে স্কিলস ফর এমপ্লয়মেন্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম’র (SEIP) কর্মশালা       গোপালপুরে পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহের এ্যাডভোকেসি সভা       গোপালপুরে কয়েলের আগুনে পুড়ে মারা গেছে কৃষকের ৩ গরু       গোপালপুরে বাল্যবিয়ে বন্ধ করলেন ম্যাজিস্ট্রেট       গোপালপুরে বনায়নের নামে সরকারি অর্থের বৃক্ষচারা গরু-ছাগলের পেটে       গোপালপুরের অদম্য মেধাবী সামির সম্ভাবনার গল্প       গোপালপুরে গর্ভবতী গাভী জবাই করে গোস্ত নিয়ে রেখে গেছে মৃত বাছুর       গোপালপুরে ৫২তম জাতীয় সমবায় দিবস পালন       গোপালপুরে বিলুপ্তপ্রায় হেমনগরের গোয়ালবাড়ি খাল       গোপালপুরে যমুনার চরাঞ্চল ঘিরে সম্ভাবনার দুয়ার    
 


মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের নাগরিকের অধিকার দিন: জাতিসংঘ

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মুসলমানদের উপর সহিংসতার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে দেশটির মুসলমান বাসিন্দাদের নাগরিকত্বের অধিকার নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। এছাড়া ওই রাজ্যে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের ব্যাপারে দেশটির সরকারকে প্রতিবেদন দাখিলের জন্যও আহ্বান জানানো হয়েছে। সোমবার জাতিসংঘের ১৯৩ সদস্য বিশিষ্ট সাধারণ সভায় এ আহ্বান জানানো হয়। গত মাসে মানবাধিকার লঙ্ঘণের অভিযোগগুলোকে ‘অভিযোগের পুরনো গান’ বলে অভিহিত করে মিয়ানমার। এসব অভিযোগ খতিয়ে দেখা প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করে দেশটির সরকার। জাতিসংঘের সিদ্ধান্তে বলা হয়, ‘মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি নিয়ে বিশেষ উদ্বেগ জানাচ্ছে জাতিসংঘ। তাদের পরিস্থিতির উন্নতি এবং নাগরিকত্বের অধিকারসহ মানবাধিকার রক্ষার জন্য সরকারকে পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানানো হচ্ছে।’ চলতি বছরের মে মাসে এক বৌদ্ধ নারীকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পর জুন মাসে রাখাইনে রোহিঙ্গা মুসলিম ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে সহিংসতায় অন্তত ৮০ জনের মৃত্যু হয়। হাজার হাজার মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়। অক্টোবরের শেষ দিকে দ্বিতীয় দফায় সহিংসতার ঘটনা ঘটে। দাঙ্গার পরে মিয়ানমারের প্রতিরক্ষা বাহিনী রোহিঙ্গাদের নির্বিচারে হত্যা, ধর্ষণ ও গ্রেপ্তার করে বলে অভিযোগ করে কিছু মানবাধিকার সংস্থা। এসব অভিযোগ অস্বীকার করে সহিংসতা প্রশমনে ‘সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রণ’র চেষ্টা করা হয়েছে বলে জানায় মিয়ানমার সরকার। মিয়ানমারের পশ্চিম উপকূলীয় এলাকার রাখাইন রাজ্যে অন্তত ৮ লাখ রোহিঙ্গা মুসলমান বাস করে। মিয়ানমারের বৌদ্ধ নাগরিকদের একটি বড় অংশ মুসলিম রৌহিঙ্গাদের অবৈধ অভিবাসী বলে মনে করে। এমন কি গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করে শান্তিতে নোবেলজয়ী অং সান সু চিও এ সমস্যা নিয়ে কখনোই কোনো স্পষ্ট অবস্থান নেননি। গত মাসে জাতিসংঘের সাধারণ সভার মানবাধিকার বিষয়ক কমিটিও মিয়ানমারের জাতিগত সহিংসতার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে একটি প্রস্তাব গ্রহণ করে। এটি গ্রহণের পরে জাতিসংঘে মিয়ানমারের প্রতিনিধি প্রস্তাবটি গ্রহণ করলেও রোহিঙ্গাদের ‘সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠী’ হিসেবে অস্বীকার করেন তিনি।

মন্তব্য করুন -


Top
error: Content is protected !!