বিশ্বজিৎ দাশ হত্যা মামলার অন্যতম আসামি এমদাদুল হক এমদাদকে ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। ডিবি পুলিশ আসামি এমদাদকে মঙ্গলবার ঢাকার মূখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের পুলিশ রিমান্ড আবেদন করেন।
শুনানি শেষে মহানগর হাকিম তানভীর আহমেদ ৭ দিনের পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
সোমবার গভীররাতে চাপাইনবাবগঞ্জ শহরের স্বপ্নপূরী নামক এক রেস্টহাউজ থেকে আসামি এমদাদকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।
এমদাদের পিতার নাম আকরাম আলী। তার গ্রামের বাড়ি যশোর জেলার শর্শা উপজেলা পাঁচকাইবা গ্রামে। সে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১০-২০১১ সেশনে দর্শন বিভাগ থেকে স্নাতক ডিগ্রি পাস করেছে।
বিশ্বজিৎ হত্যা মামলায় পুলিশ ও ডিবি বিভিন্ন জায়গা হতে রফিকুল ইসলাম শাকিল, মাহফুজুর রহমান নাহিদ, কাইয়ুম মিয়া টিপু, এইচএম কিবরিয়া, জিএম রাশেদুজ্জামান শাওন ও সাইফুল ইসলামসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করে।
অপর ৪ জন আসমি মামুনুর রশিদ, ফারুক হোসেন, কাজী নাহিদুজ্জামান ও মোসলেউদ্দিন মোসলেমকে আদালতের মাধ্যমে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।
গত রোববার আসামি শাকিল, শাওন ও নাহিদ ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
স্বীকারোক্তিতে তারা বলেছেন, “বিশ্বজিৎ যখন পুরান ঢাকার ভিক্টোরিয়া পার্কের উত্তর পাশের পেট্রল পাম্পের রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন, তখন একটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়। শব্দ শুনেই তিনি দৌড় দেন বিশ্বজিৎ। এ সময় তারা (ছাত্রলীগের কর্মীরা) তাকে ধাওয়া করে।”
তারা আরো বলেন, “এক পর্যায়ে বিশ্বজিৎ পাম্পের উত্তর দিকে একটি ডেন্টাল ক্লিনিকের দোতলায় আশ্রয় নেন। তার পিছু নেয় শাকিল, নাহিদ, লিমন, কাদের, শাওন, এমদাদ, ইউনুস, টিপু, তাহসিন, জনি, শিপলু ও কিবরিয়া। এসময় হাতে থাকা চাপাতি দিয়ে শাকিল বিশ্বজিৎকে একটি কোপ দেয়। রক্তাক্ত অবস্থায় সেখান থেকে শাকিলসহ ৭/৮ জন কর্মী তাকে রাস্তায় নিয়ে আসে। একপর্যায়ে বিশ্বজিৎ দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে শাকিল, এমদাদ, মাহফুজ আবারও তাকে কোপ দেয়।’
পরে আসামিদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
আসামিরা সবাই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এবং কবি নজরুল ইসলাম কলেজের ছাত্র।
উল্লেখ্য: গত ৯ ডিসেম্বর, রোববার ১৮ দলের অবরোধ চলাকালে রাজধানীর পুরান ঢাকার ভিক্টোরিয়া পার্কের সামনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ ক্যাডারদের হাতে নির্মমভাবে নিহত হন বিশ্বজিৎ দাশ। বর্তমানে আলোচিত এ হত্যা মামলাটি ডিবি পুলিশ তদন্ত করছেন।