সাবেক মন্ত্রী ও জাতীয় পার্টির মহাসচিব এ.বি.এম রুহুল আমিন হাওলাদার এম.পি বলেছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে দু’টি দলের বিপরীতমুখী অবস্থানের কারণে দেশের রাজনীতি ক্রমেই সংঘাতের দিকে এগুচ্ছে। ২৪ ডিসেম্বর সোমবার জাতীয় পার্টির তোপখানাস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগামী ১লা জানুয়ারি জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সফল করার লে এক যৌথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রুহুল আমিন হাওলাদার এসব কথা বলেন।
নিরীহ বিশ্বজিতসহ কয়েকটি প্রাণ এরই মাঝে ঝরে গেছে। আর এসব কিছুর মুলেই হচ্ছে ক্ষমতা। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য এবং ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য আমরা রাজনীতিবিদরা দেশের ১৬ কোটি মানুষকে জিম্মি করে ফেলি। তিনি আরও বলেন গ্যাস-পানি-বিদ্যুৎ-যানজট-দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি-অর্থনৈতিক অস্থিরতা-বেকারত্বের অভিশাপ-দেশের মৌলিক সমস্যা, অথচ আমরা সেদিকে দৃষ্টিপাত না করে ক্ষমতার জন্য একে অপরের প্রতি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, সহিংসতা ও নোংরা সমালোচনায় মেতে উঠি।
তিনি বলেন, এরশাদের ৯ বছরের শাসনামলে জিহাদ, নুর হোসেন ও ডা. মিলন সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হয়েছিল। কিন্তু ৯০ পরবর্তী তথাকথিত গণতন্ত্রের শাসনামলে রাজনৈতিক সমাবেশে গ্রেনেড মেরে মানুষ হত্যা, সারের দাবী করায় কৃষক হত্যাসহ শত শত জনতাকে পাখির মত গুলি করে হত্যা করা হল। অথচ জাতির সুশীল সমাজরা এ ব্যাপারে নিশ্চুপ। এই নিরবতার জন্যই রাজনৈতিক হত্যাকান্ড একের পর এক বেড়ে চলছে। এর জন্য জাতির কাছে একদিন জবাবদিহীতা করতে হবে।
সাবেক মন্ত্রী ও এরশাদের মুখপাত্র কাজী ফিরোজ রশীদের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, ভাইস চেয়ারম্যান হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য মোতাহার হোসেন মুকু, জহিরুল আলম রুবেল, সুলতান মাহমুদ, হারুন অর রশীদ বাশার, ইসহাক ভূইয়া, রফিকুল ইসলাম নান্নু, বেলাল হোসেন, হারিস আবুল বাশার, নগর জাপা নেতা সিরাজুল আরেফিন মাসুম, প্রিন্সিপ্যাল কাশেম, নাসরিন চৌধুরী, আকবর আলী, শারফুদ্দিন শিপু, খুরশেদ আলম খুশু, আক্তার দেওয়ান, মাসুম চৌধুরী, জাহাঙ্গীর ভূইয়া, মফিজুর রহমান লিটন প্রমুখ।