আজ || বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম :
  গোপালপুরে মাদরাসা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগে গণশুনানি       ভূঞাপুর মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির নতুন কমিটি       গোপালপুরে ১৮ বছর পর স্বনামে ফিরলো আব্দুস সালাম পিন্টু কলেজ       গোপালপুরে বিএনপির ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত       ক্ষেতের আইল দিয়ে বিদ্যালয়ে যেতে ভোগান্তিতে শিশু শিক্ষার্থীরা       গোপালপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির কমিটি গঠন       গোপালপুরে জামায়াতে ইসলামীর পৌর শাখার কর্মী সম্মেলন       ইমনরা স্বাধীনতা এনে দিয়েছে: টাঙ্গাইল জেলা জামায়াত আমীর        গোপালপুরে জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলন       ফ্যাসিবাদী আওয়ামীলীগকে এদেশের মানুষ মাথা তুলে দাড়াতে দিবেনা : সালাউদ্দীন আহমেদ    
 


পাচার হওয়া এক লাখ কোটি টাকা ফেরত আনতে তৎপর দুদক

গত দশ বছরে এক লাখ দশ হাজার কোটি টাকারও বেশি বিদেশে পাচার হয়েছে। এ ঘটনায় রাজনীতিক, ব্যবসায়ী, আমলা ও অন্যান্য পেশার ভিআইপি ব্যক্তিরা জড়িত রয়েছেন। ওয়াশিংটন ভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটির (জিএফআই) একটি প্রতিবেদনে

এ তথ্য পাওয়ার পর এসব অর্থ ফেরত আনার বিষয়ে সম্প্রতি আইনি প্রক্রিয়া শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দুদকের অনুসন্ধান ও তদন্ত বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ওয়াশিংটন ভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘জিএফআই’ গত সপ্তাহে এ সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদনে প্রকাশ করে। তাতে বলা হয়, দুর্নীতি ও অপরাধমূলক কর্মকান্ডের মাধ্যমে এসব অর্থ স্থানান্তর করা হয়। দেশ থেকে এসব অর্থ কানাডা, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, চীন, হংকং, জার্মানি, জাপান, আরব আমিরাতসহ বিভিন্ন দেশে পাচার করা হয়েছে।

দুদকের আইন বিভাগ থেকে জানা যায়, পাচার করা এসব অর্থ ফেরত আনতে বিভিন্ন দেশের সরকারের কাছে অর্থ পাচার-সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে অ্যাটর্নি জেনারেলের মাধ্যমে এমএলএআর (মিউচুয়াল লিগ্যাল আন্ডারস্ট্যান্ডিং রিকোয়েস্ট) পাঠানো হয়েছে। টাকা পাচার হওয়া দেশগুলোর সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তার সঙ্গে চিঠি আদান-প্রদানসহ বিভিন্নভাবে যোগাযোগ করা হচ্ছে। জাতিসংঘের দুর্নীতিবিরোধী কনভেনশনের আওতায় সমঝোতায় এ আইনি সহায়তা নেওয়া হচ্ছে। দুদক পাচার করা অর্থ ফেরত আনতে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। পাচার করা অর্থ দেশে ফেরত আনতে সংস্থার সর্বশক্তি নিয়োগ করা হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুদকের সিনিয়র এক কর্মকর্তা বলেন, পাচার করা অর্থ ফেরত আনতে দুদকের আইনগত প্রক্রিয়া চলছে। ইতোমধ্যে আরাফাত রহমান কোকোর (বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সন্তান) টাকা ফেরত এসেছে। একইভাবে বিভিন্ন ব্যক্তির পাচার করা অর্থ ফেরত আনতে কমিশনের আইনী প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে। দুদকের আইন বিভাগ জানায়, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় থেকে এ পর্যন্ত অর্থ পাচার সংক্রান্ত ৫০টি মামলা করা হয়েছে। অর্থ পাচারের অভিযোগে শিগগিরই আরও কিছু মামলা করা হবে।

জানা গেছে, গত ছয় বছরে দুদক প্রায় ৫০টি অভিযোগ অনুসন্ধান শেষ করে তদন্ত করছে এবং ১৫টির অনুসন্ধান চলছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিরা হলেন, সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, বিএনপি দলীয় সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, তার স্ত্রী ও পুত্র, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মির্জা আব্বাস, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম মোর্শেদ খান ও তার পুত্র, সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা তার স্ত্রী সিগমা হুদা ও তাদের দুই মেয়ে অন্তরা হুদা ও শ্রাবন্তি হুদা। সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী ব্যারিস্টার আমিনুল হক, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মোসাদ্দেক আলী ফালু তার স্ত্রী মাহবুবা সুলতানা। সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু তার স্ত্রী সংসদ সদস্য রোমানা মাহমুদ ও তার ছেলে, বিএনপি নেতা আলী আজগর লবী তার দুই ছেলে ফয়সাল আজগর ও সাকিব আজগর, যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান ও তার বন্ধু ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, সাবেক সাংসদ হাফিজ ইব্রাহীম, জামাত নেতা মীর কাশেম আলী প্রমুখ।

এছাড়া মহাজোট সরকারের আমলে শেয়ার কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত প্রায় এক ডজন ব্যক্তির টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে বলে দুদকের কাছে অভিযোগ রয়েছে। শেয়ার কেলেঙ্কারির হোতারা ছাড়াও ব্যবসায়ী ও আমলাসহ প্রায় অর্ধশতাধিক ব্যক্তির পাচারের টাকা ফেরত আনার মিশনে রয়েছে বলে দুদক সূত্র জানায়।

মন্তব্য করুন -


Top
error: Content is protected !!