কে এম মিঠু, গোপালপুর :
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে জরুরি কারণ ছাড়া ঘর থেকে বের হওয়া নিষেধ থাকায়, বিপাকে দিন কাটাচ্ছে সমাজের খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ। সরকার ঘোষিত মানবিক সহায়তা প্যাকেজ দ্রুত সুবিধাবঞ্চিতদের হাতে তুলে দেয়া এখন অতি জরুরি বিষয়।
ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের মাধ্যমে সরকারের পাঠানো ত্রাণ কবে নাগাদ এলাকায় আসবে তাও অজানা। আর সেই ত্রাণ আসতে আসতে হয়তো গ্রামের দুস্থ-অসহায় ও কর্মহীন মানুষগুলো স্বাস্থ্যগতসহ জীবনধারণে অনেকটাই ঝুঁকিতে পরবে।
সকাল বেলায় বাড়ি থেকে বের হলেই কানে আসে- 'কি গো মেম্বার সাব, আরতো কুলাবার পারতেছি না, সব বন্ধ থাকায় কামাইটামাই এহাবারেই নাই। এহন কী আমরা না খাইয়াই দিন কাটামু? গরিবের নিগা কিছু এডা করুন'।
গ্রামের হতদরিদ্র মানুষগুলোর চাহিদামাখা মলিন মুখ প্রতিদিনই আমাকে অনেক কষ্ট দেয়। বাপদাদার তেমন সহায়-সম্পত্তি না থাকলেও নিজের দায়িত্ব পালনের জন্য মনস্থির করি, কাল থেকেই সমাজের মধ্যে কষ্টে থাকা পরিবারগুলোকে খুঁজে বের করে আমি কিছু খাদ্য সহায়তা দেবো।
কথাগুলো বলছিলেন, টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার নগদাশিমলা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. জুলহাস উদ্দিন মেম্বার।
সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে তিনি আজ সোমবার, উপজেলার নগদাশিমলা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড এলাকায়, নিজ অর্থায়নে কেনা প্রায় ২০০ শত হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন।
সম্পাদক : অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন | নির্বাহী সম্পাদক : কে এম মিঠু
প্রকাশক কার্যালয় : বেবি ল্যান্ড, বাজার রোড গোপালপুর, টাঙ্গাইল -১৯৯০, বাংলাদেশ।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত - ২০১৯-২০২৩