মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যে নতুন করে শুরু হওয়া জাতিগত সহিংসতায় নিহত হয়েছে অন্তত ৬৪ জন। তবে সেখানে প্রকৃত ধ্বংসযজ্ঞ আরও ব্যাপক আকারে ঘটেছে বলে দাবি করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। যুক্তরাজ্যভিত্তিক এই মানবাধিকার সংগঠনের প্রকাশ করা একটি স্যাটেলাইট ছবি থেকে দেখা যায়, রাখাইন রাজ্যের উপকূলবর্তী শহর কায়াউকপুতে প্রায় ৩৫ একর জায়গা আগুনে ভস্মীভূত হয়ে গেছে। ধ্বংস হয়েছে ৮০০টিরও বেশি ঘরবাড়ি।
ধ্বংস হয়ে যাওয়া এই ৩৫ একর জায়গার বাসিন্দাদের বেশির ভাগই মুসলিম রোহিঙ্গা বলে জানিয়েছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। এই এলাকা থেকে অনেকেই নৌকায় করে পালিয়ে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ডেপুটি এশিয়া ডিরেক্টর ফিল রবার্টসন বলেছেন, রাখাইনে নিষ্ঠুর আক্রমণের মুখে থাকা রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে খুব দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া দরকার মিয়ানমার সরকারের। যদি সরকার এই সহিংসতার মূল কারণ শনাক্ত করতে শুরু না করে, তা হলে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাবে।
মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলে চলমান বৌদ্ধ ও মুসলিম রোহিঙ্গাদের মধ্যে জাতিগত দাঙ্গার কারণ দেশটির সংস্কার কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে সতর্ক করে দিয়েছে জাতিসংঘ।
গত রোববার রাজ্যের চারটি স্থানে রোহিঙ্গা মুসলিম ও রাখাইন বৌদ্ধদের মধ্যে এই সহিংসতা শুরু হয়। এর পরপরই শত শত মানুষ প্রাণ বাঁচাতে বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যায়।
গত মে মাসে একজন বৌদ্ধ নারীকে কয়েকজন মুসলমান ধর্ষণ করেছে বলে গুজব রটলে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। সে সময় এই জাতিগত দাঙ্গায় নিহত হয়েছিল ৯০ জন। সহিংসতা থামাতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছিল রাখাইন রাজ্যে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে নতুন করে শুরু হওয়া এই দাঙ্গার প্রকৃত কারণ কী, তা জানা না গেলেও রোহিঙ্গা ও রাখাইন বৌদ্ধরা একে অপরকে দায়ী করছে। বিবিসি অনলাইন