রাজধানী দিল্লিতে নতুন করে প্রতিবাদ ঠেকাতে রবিবার ভোর রাত থেকেই ১৪৪ ধারা জারি করল দিল্লি পুলিস।
তবে বিক্ষোভকারীদের রামলীলা ময়দান ও যন্তর মন্তরে জমায়েত করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বীজয় চক ও রাজপথে ইতিমধ্যেই যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। ইন্ডিয়া গেটে জমা হওয়া প্রতিবাদকারীদের হঠাতেও শুরু করেছে প্রশাসন।
দিল্লি গণধর্ষণ কাণ্ডে আন্দোলনকারীদের রুখতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে রাষ্ট্রপতি ভবনের সমস্ত পথ। বিজয়চক ও সংলগ্ন এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে পুলিশ।
রবিবার সকাল থেকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্ডিয়া গেটের কাছাকাছি ৪টি মেট্রো স্টেশন। স্টেশনগুলি হল, প্যাটেল চক, সেন্ট্রাল সেক্রেটারিয়েট, উদ্যোগ ভবন এবং রেস কোর্স। আন্দোলনকারীরা যাতে কোনও ভাবেই রাইসিনা হিলসের ধারে কাছে না যেতে পারেন তার জন্য মোতায়েত করা হয়েছে বিরাট পুলিস বাহিনী। বিজয় চক এলাকায় সংবাদমাধ্যমের গতিবিধিও নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। যে সমস্ত আন্দোলনকারীরা রাতে বিজয়চকে ছিলেন, আজ সকালেই তাঁদের সরিয়ে দেয় পুলিস। বাসে করে তাঁদের অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয়ছে। শনিবার গভীর রাতে নিজের বাসভবনের বাইরে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলেন সোনিয়া গান্ধী। পরে দশ জনপথের সামনে থেকেও বিক্ষোভকারীদের হাটিয়ে দেয় পুলিশ। ইন্ডিয়া গেট ও সংলগ্ন এলাকায় আর বিক্ষোভকারীদের ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে পুলিস। গোটা এলাকায় চলছে আধা সেনার টহল।
দিল্লির গণধর্ষণ কাণ্ডের ন্যায়বিচার চেয়ে দেশ জুড়ে চলা বিক্ষোভের মধ্যেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীল কুমার শিন্ডে ঘটনার বিচারবিভাগীয় কমিশন গঠন করে তদন্তের আশ্বাস দেন। হতকাল সাংবাদিকদের সামনে এই ঘটনার মতো বিরল থেকে বিরলতম যৌন নিগ্রহের ক্ষেত্রে অভিযুক্ত অপরাধীদের শাস্তি কঠোরতর করার আর্জি জানাবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। দিল্লি সহ সারা দেশেই মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণেরও আশ্বাস দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। যাঁরা প্রতিবাদে পথে নেমেছেন তাঁদের ন্যায্য দাবির প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে তিনি বলেন এই পরিস্থিতিতে স্থৈর্যের পরিচয় দেওয়ার আবেদন করেন। সারা দেশের পাশাপাশি তাঁর মন্ত্রক সহ কেন্দ্রীয় সরকারও রবিবার রাতের ঘটনাকে গভীর সংবেদনশীলতার সঙ্গে বিচার করছে বলেও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।