মিশরের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, গণভোটে ভোটদাতাদের ৬৩ শতাংশেরও বেশি প্রস্তাবিত সংবিধানের পক্ষে ভোট দিয়েছেন।
ক্ষমতাসীন মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রস্তাবিত এই সংবিধান মিশরের সমাজে বড় ধরণের বিভক্তি তৈরি করেছে।মিশরে নতুন সংবিধানের ওপর দ্বিতীয় দফা গণভোট
বিরোধীদের বক্তব্য প্রেসিডেন্ট মোরসি এই সংবিধানের মাধ্যমে মিশরকে একটি ইসলামি রাষ্ট্রে পরিণত করতে চাইছেন
তাঁদের কথা, খসড়া সংবিধানে মহিলা এবং সংখ্যালঘুদের সমান অধিকার থেকে বঞ্চিত করে মুসলিম ব্রাদারহুড মিশরের গণতান্ত্রিক বিপ্লবের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।
গণভোট বাতিলের দাবিতে বেশ কিছুদিন ধরে মিশরে সহিংস বিক্ষোভ চলছে।
এই বিতর্কের মাঝে, মাত্র ৩০ শতাংশের মত ভোটার ভোট দিয়েছেন।
সংবাদদাতারা বলছেন ক্ষমতাসীন মুসলিম ব্রাদারহুডের জন্য এটি একটি বিজয় হলেও, এর পরেও মিশরে রাজনৈতিক সঙ্কট অব্যাহত থাকবে।
এমনকি ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার ঘন্টাখানেক আগে মিশরের ভাইস প্রেসিডেন্ট মেহমুদ মেক্কি পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলছেন, দেশের বর্তমান রাজনীতির সাথে তিনি খাপ খাইয়ে নিতে পারছেন না
সোমবার এই গণভোটের সরকারি ফলাফল ঘোষণা করা হতে পারে। সংবিধান অনুমোদিত হলে আগামি বছর সংসদ নির্বাচন হবে।
বিরোধী ন্যাশনাল স্যালভেশন ফ্রন্ট গণভোট অনিয়মের অভিযোগ তুললেও পরোক্ষভাবে ফলাফল মেনে নিয়েছে।
তবে ফ্রন্টের মুখপাত্র খালেদ দাউদ ভোটার উপস্থিতির বলেছেন, প্রমাণিত হয়েছে মিশরের অন্তত অর্ধেক মানুষ এই সংবিধান চায় না।
তবে সরকারপক্ষ বলছে, এই সংবিধান মিশরের গণতন্ত্রকে সংহত করবে। [সুত্রঃ বিবিসি]