এক দিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন শচীন টেন্ডুলকার, যাকে বিশ্বের সবচেয়ে ‘পরিপূর্ণ’ ব্যাটসম্যান হিসেবে বিবেচনা করা হয়। রোববার সকালে ভারতের ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই) অবসর নিয়ে টেন্ডুলকারের বিবৃতি প্রকাশ করে। বিএসসিই প্রধান এন শ্রীনিবাসকে পাঠানো এই বিবৃতিতে শচীন রমেশ টেন্ডুলকার বলেন, ‘আমি ক্রিকেটের একদিনের ফরম্যাট থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় দলে থাকার স্বপ্ন পূরণ হওয়ায় আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি।’ পাঁচবার অংশ নিয়ে অবশেষে ২০১১ সালের দেশের মাটিতে বিশ্বকাপ জেতার পর আর কিছু চাওয়ার ছিল না ক্রিকেটের এই বরপুত্রের। বিবৃতিতে ভবিষ্যতে দলের জন্য শুভ কামনা রেখে তিনি বলেন, “বছরের পর বছর ধরে শর্তহীন সমর্থন ও ভালোবাসা দেয়ায় আমি আমার শুভাকাঙ্খীদের প্রতি কৃতজ্ঞ।” ৫০ ওভারের ফরম্যাটে ২৩ বছরের ক্যারিয়ারের ইতি টানলেন বিশ্বের সবচেয়ে বেশি রান সংগ্রাহক এই ব্যাটসম্যান। ডানহাতি ব্যাটসমস্যান টেন্ডুলকারকে ধরা হয় আধুনিক ক্রিকেটের সবচেয়ে পরিপূর্ণ ক্রিকেটার হিসেবে। সাফল্যময় ক্যারিয়ারে ৪৬৯টি একদিনের ম্যাচে ৪৯টি শতকসহ ১৮ হাজার ৪২৬ রান করেছেন টেন্ডুলকার, যার প্রতিটিই বিশ্ব রেকর্ড। ওয়ানডে ও টেস্ট মিলিয়ে সবচেয়ে বেশি শতকের রেকর্ডের মালিকও তিনি। ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারিতে সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে একদিনের ম্যাচের ইতিহাসে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে দ্বিশতক হাকান টেন্ডুলকার। গত মার্চে ঢাকায় পাকিস্তানের বিপক্ষে এশিয়া কাপের ম্যাচটিই শেষ একদিনের ম্যাচ হয়ে রইল। শেষ ম্যাচে অর্ধশতক করে ভারতের জয়ে ভূমিকা রেখেছিলেন তিনি। ১৯৮৯ সালে গুজরানওয়ালায় এই পাকিস্তানের বিপক্ষেই এক দিনের ম্যাচে অভিষেক হয় টেন্ডুলকারের। তবে প্রথম ম্যাচে শূন্য রানে সাজঘরে ফেরেন তিনি। নবম ওয়ানডেতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম অর্ধশতক আসে তার ব্যাট থেকে। প্রথম সেঞ্চুরি পেতে অপেক্ষা করতে হয় ৭৯ তম ওয়ানডে পর্যন্ত। ২৩ বছরের ক্যারিয়ারে এরপর অসংখ্য রেকর্ড নতুন করে লিখিয়েছেন ‘লিটল মাস্টার’।
পাকিস্তানের বিপক্ষে একদিনের ও টিটোয়েন্টি দলের নাম ঘোষণার আগে টেন্ডুলকারের অবসরের ঘোষণা জানানো হলো। দেশের মাটিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হোম সিরিজ হারার পর টেন্ডুলকারের ফর্ম নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। টেস্ট থেকে অবসরের আহ্বানও জানান সমালোচকরা।