মাগুরায় গভীর রাতে ঘন কুয়াশার মধ্যে নৌকা ডুবে ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে তিনজন একই পরিবারের সদস্য। মাথাপিছু ২০ হাজার টাকা বরাদ্দের ঘোষণা দিয়েছে প্রশাসন।
শুক্রবার রাত ২টার দিকে সদর উপজেলার বুজরুক শ্রীকুণ্ডি গ্রামে নবগঙ্গা নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী জানায়, নবগঙ্গার ওপারে বড়ই গ্রামে কির্তন শুনে রাত ২টার দিকে নৌকায় করে বাড়ি ফিরছিলেন শ্রীকুণ্ডি গ্রামের ১২ জন। কিন্তু মাঝ নদীতে ঘন কুয়াশার মধ্যে নৌকাটি হঠাৎ কাত হয়ে উল্টে যায়।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে গ্রামবাসী রাতেই উদ্ধার কাজ শুরু করে। ভোর রাতে ব্রিজিত প্রামাণিক(৬৫) নামে একজনের লাশ পাওয়া যায়, সকালে পাওয়া যায় আরো পাঁচজনের মৃতদেহ।
এরা হলেন-নিরাপদ প্রামাণিক(৬০),তার ছোট ভাই প্রোজিত প্রামাণিক(৫৭),নিরাপদের নাতি দীপ্ত (১০), একই গ্রামের কাজলী মণ্ডল (৪৫)ও উত্তম প্রামাণিক (৩৭)।
সদর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) লিটন কুমার জানান, ছোট নৌকায় বেশি লোক ওঠায় এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে স্থানীয়দের ধারণা। আর শীতের মধ্যে সবার পরনেই মোটা কাপড় থাকায় পানিতে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা ভিজে ভারি হয়ে যায়। ফলে সাঁতার জানলেও অনেকে তীরে পৌঁছানোর আগেই ডুবে যান।
নৌকার আরোহীদের মধ্যে কয়েকজন সাঁতরে তীরে ওঠেন। বাকিদের উদ্ধার করে এলাকাবাসী।
সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্মা তদিবুর রহমান খবর পেয়ে ভোররাতেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন এবং উদ্ধার কাজের তদারক করেন।
এসআই) লিটন জানান, মাগুরা ফায়ার সার্ভিসে কোনো ডুবুরি না থাকায় খুলনা থেকে ডুবুরি দল মাগুরার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। কিন্তু তারা পৌঁছানোর আগেই স্থানীয়রা ছয় জনের লাশ উদ্ধার করে।
তাদের লাশ বুজরুক শ্রীকুন্ডি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে রাখা হয়েছে। এ সময় এলাকায় শোকের মাতম শুরু হয়। এ ঘটনায় এলঅকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।