নিজস্ব প্রতিবেদক :
খরস্রোতা যমুনা তীরবর্তী ঢাকা-তারাকান্দি মহাসড়ক সংলগ্ন অবস্থিত গোপালপুর উপজেলাধীন মুক্তিযোদ্ধা নয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। উপজেলা সদর থেকে প্রায় ২০ কিমি পশ্চিমের এ স্কুলটিতে নদীভাঙ্গান কবলিত কলু, ঋষি এবং কৃষিজিবী পরিবারের শতাধিক সন্তান লেখাপড়া করে।
তিন দশক আগে প্রতিষ্ঠিত একতলা এ স্কুল ভবনটি বর্তমানে খুবই জ¦রাজীর্ন। ছাদ, দেয়াল ভীম, মেঝে ফেটে চৌচির। প্রতিনিয়ত শ্রেণিকক্ষে ছাদের ইটখোয়া, রড, প্লাস্টার ভেঙ্গে পড়ে। বেশ কয়েকবার আহতও হয়েছেন একাধিক ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষক। এ জন্য অভিভাবকরা সন্তানদের স্কুলে পাঠিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকেন। মহাসড়ক সংগলœ এ স্কুলের সীমানা প্রাচীর না থাকায় স্কুলে আসা যাওয়ার সময় এবং মাঠে খেলারত শিশুরা বল বা ক্রিড়া সামগ্রী সংগ্রহ করতে ব্যস্ত সড়কে দুর্ঘটনার শিকার হয়।
গোঁদের উপর বিষ ফোঁড়ার মতো ক্লাস চলাকালীন স্কুল মাঠে চলে পাট আর পাটখড়ির ব্যবসা। এছাড়াও স্কুল প্রাঙ্গণে বসানো হয়েছে যমুনা নদী থেকে উত্তোলন করা অবৈধ বালির ব্যবসা। স্থানীয় প্রভাবশালী আনিসুর, আলতাফ ও জজ খান নামক তিন বালি ব্যবসায়ী সড়ক ও স্কুল মাঠের একাংশ জুড়ে বসিয়েছেন এ বালির আড়ৎ। প্রতিদিন এসব বালি কেনা-বেচায় নৌকা-ট্রলার ও ট্রাকের শব্দ দূষণে লেগেই থাকে শোরগোল। ফলে ব্যহত হয় শ্রেণি পাঠদান।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক আনজু আনোয়ারা ময়না জানান, অবৈধভাবে মজুদ করা এসব বালি সামান্যতম বাতাসেই ছড়িয়ে শিশুদের চোখেমুখে আঘাত করায় প্রায়ই শিক্ষার্থীরা চোখের রোগ ও শ্বাস কষ্টে ভোগে। স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি শামসুল আলম খান সমেশ জানান, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ইতোমধ্যে উপজেলা প্রশাসনকে অনুরোধ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিকাশ বিশ^াস জানান, পাট ও পাটখড়ি হাট বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অভিযোগ পাওয়া বিদ্যালয় মাঠ সংলগ্ন বালি ব্যবসা দ্রæততার সাথে বন্ধ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সম্পাদক : অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন | নির্বাহী সম্পাদক : কে এম মিঠু
প্রকাশক কার্যালয় : বেবি ল্যান্ড, বাজার রোড গোপালপুর, টাঙ্গাইল -১৯৯০, বাংলাদেশ।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত - ২০১৯-২০২৩