থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রা দুই দিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন। ১০৮ সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল নিয়ে শুক্রবার বিকেলে ঢাকা পৌঁছেছেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী। বিকেল ৫টা ১০ মিনিটে থাই এয়ারের একটি বিশেষ বিমানে ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছলে তাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেয়া হয়।
থাই প্রধানমন্ত্রী ইংলাক নয়াদিল্লিতে ভারত-আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনে যোগদান করেন। বৃহস্পতিবার দু’দিনব্যাপী এ সম্মেলন শুরু হয়। সেখান থেকে তিনি বাংলাদেশে এসেছেন। বাংলাদেশে এটা তার প্রথম সফর।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ডেস্কের মহাপরিচালক গোলাম সারওয়ার বলেন, শনিবার সিনাওয়াত্রা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করবেন। তার দু’দিনের সফরকালে দু’টি দেশের মধ্যে দু’টি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হবে। তিনি বলেন, একটি এমওইউ স্বাক্ষরিত হবে কৃষিখাতে সহযোগিতা বিষয়ে। এ খাতে থাইল্যান্ডের সাফল্য ও দক্ষতা থেকে বাংলাদেশ লাভবান হতে আগ্রহী। বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে নিয়মিত বৈঠক অনুষ্ঠানে অন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে।
৪৫ বছর বয়স্ক প্রথম থাই মহিলা প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গীদের মধ্যে কেবিনেটের ৫ জন সদস্য রয়েছেন। এছাড়া ৩০ জন ব্যবসায়ী নেতাও থাকছেন। তিনি বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) সঙ্গে শনিবার বৈঠক করবেন। এফবিসিসিআই থাই প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের সম্মানে নৈশভোজের আয়োজন করবে।
গত জুলাইয়ে থাইল্যান্ডের সাধারণ নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষা লাভকারী ইয়াংলাক সিনাওয়াত্রা বিপুল ভোটে বিজয়ী হন। তিনি হলেন সে দেশের বিগত প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার বোন। বাংলাদেশের সঙ্গে থাইল্যান্ডের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। ১৯৭২ সালের ৫ জুলাই দু’দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৭৮ সালে মরহুম প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান থাইল্যান্ড সফরে যান। তারপর থেকে দু’দেশের মধ্যে ঘনঘন সফর বিনিময় হতে থাকে। ইয়াংলাক সিনাওয়াত্রার ভাই থাকসিন সিনাওয়াত্রা ২০০৪ সালে বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন। তার সফরের জবাবে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া একই বছর থাইল্যান্ড সফরে যান।