বাগেরহাটে দৈনিক কালেরকন্ঠ-এর সম্পাদকসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বাগেরহাট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সরদার নাসির উদ্দিন বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেছেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে বাগেরহাটের অতি: চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে এ মামলা দায়ের করেন।
মামলায় ক্রমানুসারে অভিযুক্তরা হলেন, দৈনিক কালেরকন্ঠ-এর ষ্টাফ রিপোর্টার পাভেল হায়দার চৌধুরী, সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন, দায়িত্বপ্রাপ্ত সম্পাদক জয়নাল হোসেন চৌধুরী ও চীপ রিপোর্টার টিটু দত্ত গুপ্ত। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আগামী ৩০ জানুয়ারীর মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বাগেরহাট সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ১৯ ডিসেম্বর দৈনিক কালেরকন্ঠে ছাত্রলীগ সোনার ডিম পাড়া হাঁস শিরোনামে সংগঠনটির কতিপয় সাবেক ও বর্তমান নেতৃবৃন্দের দূর্ণীতির তথ্য সম্বলিত সংবাদ প্রকাশ করা হয়। ওই সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, উল্লেখিত সংবাদে ছাত্রলীগের সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগসহ বর্তমান ও সাবেক কতিপয় নেতাদের নামে উদ্দেশ্যমূলক, মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও মানহানিকর রিপোর্ট প্রকাশ করে ঐতিহ্যবাহী ছাত্রলীগের স্বর্ণালী ইতিহাস ও মর্যাদা ক্ষুন্ন করা হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদটি স্থানীয় নেতা-কর্মী ও জন মানুষের নিকট সংগঠন এবং নেতৃত্বকে হেয় করেছে। এ সংবাদ প্রকাশের জন্য ভুল স্বীকার ও প্রতিবাদ প্রকাশ না করায়, এ মামলা দায়ের করা হল বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
মোরেলগঞ্জে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার নামে ২ লক্ষাধিক টাকা আত্মসাৎ
এফএনএস (এস এম জাকারিয়া মাহমুদ; বাগেরহাট) : বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার সোমাদ্দারখালী ও বারইখালী গ্রামের ২১টি পরিবারকে বিদ্যুৎ সংযোগ পাইয়ে দেয়ার কথা বলে দুই লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বারইখালী গ্রামের মৃত কাজেম আলী হাওলাদারের পুত্র মাষ্টার সুলতান হাওলাদার(৫৫)। এ ঘটনায় সোমাদ্দারখালী গ্রামের লুৎফর মুন্সি(৫০) বাদী হয়ে সুলতান হাওলাদার ও তার পুত্র সুমন(২৫)কে আসামী করে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে।
এলাকাবাসি ও থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, জিউধরা ইউনিয়নের বারইখালী গ্রামের মাষ্টার সুলতান হাওলাদার সোমাদ্দারখালী ও বারইখালী গ্রামের বিভিন্ন শ্রেনী পেশার ২১ পরিবারকে বিদ্যুৎ সংযোগ পাইয়ে দেয়ার কথা বলে প্রতিজনের নিকট থেকে ৬শ থেকে ৪২ হাজার টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নিয়েছে। সংযোগ পেতে খাম্বা কেনা ও অফিসের কর্মকর্তাদেরকে ম্যানেজ করার অজুহাত দেখিয়ে ওই টাকাগুলো আদায় করেছে সুলতান।
যাদের নিকট থেকে সংযোগ দেয়ার কথা বলে টাকা নেয়া হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন, বারইখালী গ্রামের মোকাম্মেল হোসেন ১৫ হাজার, অরুণ মন্ডল ২৫ হাজার, জাহিদুল ইসলাম ৪২ হাজার, সুমন খলিফা সাড়ে ১৯, সুব্রত সরকার সাড়ে ৪ হাজার, মুকুমার সরকার ২ হাজার, সোমাদ্দারখালী গ্রামের ইুদ্রস আলি হাওলাদার ৩০ হাজার, আলম ঘরামী ৫ হাজার, লতিফ খান ৩ হাজার, শ্যামল রায় ২০ হাজার, লুৎফর মুন্সি ৩০ হাজার, জাকির মুন্সি ১০ হাজার টাকা। এ ভাবে বিভিন্ন অংকে ২১ জনের নিকট থেকে মোট ২ লক্ষ ১০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে সুলতান মাস্টার। জিউধরা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোঃ হাবিবুর রহমান লিখিতভাবে এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেছেন, মাষ্টার সুলতান হাওলাদার ২১টি পরিবারকে পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহক বানিয়ে তাদের নিকট থেকে ২ লক্ষ ১০ হাজার টাকা নিয়েছেন কিন্তু তাদের বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে না পারায়, ভূক্তভোগীরা দিন দিন ক্ষুব্ধ হচ্ছে।
এ বিষয়ে পল্লী বিদ্যুৎ মোরেলগঞ্জ জোনাল অফিস সূত্রে জানা গেছে, সুলতান মাস্টারের সাথে বিদ্যুৎ অফিসের কারো সাথে কোন প্রকার সম্পর্ক নেই।