বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ঢাকাস্থ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যদের জরুরী সভায় গৃহীত প্রস্তাবে বলা হয় মহাজোট সরকার ক্ষমতার ৪ বছরে অঙ্গীকারের বরখেলাপ, সীমাহীন ব্যর্থতা ও দুরাচারী শাসনের মধ্য দিয়ে দেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতকে এক গভীর অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিয়েছে।
সরকারের একগুঁয়েমি দলবাজি, সবকিছু দখলে রাখার মানসিকতা ও প্রতিহিংসা পরায়ণ মনোভাবের কারণে দেশ দ্রুত এক রক্তয়ী সংঘর্ষের পথে ধাবিত হচ্ছে। রাষ্ট্র ক্ষমতাকে পুরোপুরি দমন ও বল প্রয়োগের হাতিয়ারে পরিণত করা হয়েছে। সরকারী পৃষ্ঠপোষকতায় দাগী অপরাধী ও সন্ত্রাসীরা আজ বেপরোয়াভাবে তৎপর। পূর্ববর্তী সরকারগুলোর ধারাবাহিকতায় মহাজোট সরকার রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসকে ক্রমেই আরো জোরদার করেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জনমনে আস্থার পরিবর্তে ভীতি সঞ্চার করে চলেছেন।
প্রস্তাবে এই শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতির অবসানে মহাজোট ও জোটের সহিংস হানাহানির রাজনীতির বিপরীতে দেশের গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে জনগণের বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয়। সভায় গত ১৮ ডিসেম্বরের হরতাল পর্যালোচনা করে বলা হয় নানা অপপ্রচার ও প্রতিকূলতা মোকাবেলা করে বাম গণতান্ত্রিক শক্তি আহুত হরতাল সফল করার মধ্য দিয়ে রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে, গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে নতুন উপাদান সংযোজন করেছে। প্রস্তাবে আন্দোলনের এই ধারা অব্যাহত রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়।
বৃহস্পতিবার সকালে সেগুনবাগিচায় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় পার্টির সভাপতিমন্ডলীর সদস্য নাসিরুদ্দীন আহমেদ নাসু, বহ্নিশিখা জামালী, কেন্দ্রীয় সদস্য ড. এম. আক্তারুজ্জামান, মোকলেছুর রহমান, আকবর খান, আবু হাসান টিপু, মোফাজ্জল হোসেন মোস্ত্মাক, রাশেদা বেগম, সেলিনা আক্তার প্রমুখ।
সভায় ১৮ ডিসেম্বর হরতালে বিভিন্ন জেলায় বাম মোর্চার নেতাকর্মীদের নির্যাতন ও গ্রেফতারের প্রতিবাদে এবং মোর্চার ৭ দফা বাস্তবায়নের দাবীতে ২৪ ডিসেম্বর দেশব্যাপী বাম মোর্চার বিক্ষোভ সমাবেশ সফল করার আহ্বান জানানো হয়।