বিশ্বজিৎ দাস হত্যাকাণ্ডে জড়িত ৩০ পলাতক কিলারকে ধরতে ইন্টারপোলের দ্বারস্থ হয়েছে সরকার। কিলারদের পূর্ণাঙ্গ বায়োডাটা বিশ্বের সর্বোচ্চ পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলের কাছে দেয়া হচ্ছে। কিলারদের মধ্যে কেউ দেশের বাইরে পালিয়ে গেলে তাদের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি করবে ইন্টারপোল। তার পাশাপাশি কিলারদের ছবি দেশের সব সীমান্তবর্তী এলাকা ও বিমানবন্দরে পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্যে ছয় কিলারকে গ্রেফতার করলে বাকিরা এখনও রয়েছে অধরা। তবে
পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, শিগগিরই সুখবর পাওয়া যাবে। কয়েকজন কিলার গোয়েন্দাদের কব্জায় ধরাছোঁয়ার বাইরে।
ঘটনার দিন পুলিশের কোন ধরনের গাফিলতি আছে কিনা সে বিষয়ে তদন্ত করছে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা। তদন্তে পুলিশের কোন ধরনের গাফিলতি পাওয়া গেলে তাকে সাসপেন্ডসহ বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে গতকাল একটি অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর বলেছেন, বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কোন সদস্যের গাফিলতি থাকলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ মামলার ঘাতকদের গ্রেফতার করতে সবগুলো সংস্থা একযোগে কাজ করছে। তবে কোন নিরপরাধ ব্যক্তি যাতে হয়রানির শিকার না হন সেদিকে বিশেষ নজর দেয়া হচ্ছে। বিশেষ করে পুরাণ ঢাকায় যে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তারা যদি নির্দোষ প্রমাণিত হন তাহলে মামলায় তাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হবে না। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পুলিশের গাফিলতি থাকায় সূত্রাপুর থানার ওসিকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। লালবাগ জোনের ডিসির ব্যাপারে তিনি বলেন, ঘটনাস্থল ওয়ারী জোনেও হওয়ায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যাচ্ছে না।
যেসব কিলারের বায়োডাটা যাচ্ছে ইন্টারপোলে : যাদের বায়োডাটা ইন্টারপোলের কাছে দেয়া হচ্ছে তারা হল- মীর নুরে আলম লিমন, রাজন তালুকদার, ইমদাদুল হক, ওবায়দুল কাদের তাহসিন, আজিজুল হক, ইউনুস আলী, আবদুল্লাহ আল মামুন, সজীব, সোহেল, শিপলু, আল আমিন উজ্জ্বল, আলাউদ্দিন, মোশারফ, রিন্টু, পাভেল, শাওন, সোহেল, আল-আমিন, উজ্জ্বল, আলাউদ্দিন, আজিজুল, মামুন, শিপলু, সুমন, রফিকুল ইসলাম শাকিল, মাহফুজুর রহমান নাহিদ, এইচএম কিবরিয়া, জিএম রাশেদুজ্জামান শাওন, সাইফুল ইসলাম ও কাইয়ুম মিয়া টিপু।
তদন্ত করছে পুলিশ : পুলিশের গাফিলতি ছিল কিনা তা নিয়ে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা তদন্ত করছে। পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, পুলিশের কিছুটা গাফিলতির প্রমাণ পাওয়া গেছে। তবে যাদের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ আসছে তাদের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।