নিজস্ব সংবাদদাতা : টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার তিন ভূয়া মুক্তিযোদ্ধার গেজেট, সনদ ও ভাতা বাতিলের দাবি জানানো হয়েছে। গতকাল বুধবার মধুপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মিলনে এ দাবি জানান প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা।
সম্মিলনে লিখিত অভিযোগ পাঠ করে শোনান বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সামাদ। বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার হাবিবুর রহমান, আব্দুর রাজ্জাক জিহাদী, আব্দুর রশীদ, সায়েদুর রহমান, শরাফত আলী, আবুল হোসেন প্রমুখ।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়, মধুপুর উপজেলার টুনিয়াবাড়ী গ্রামের বাহাদুর মিয়ার স্ত্রী আছিরন বিবি (গেজেট নয়-৬৩৯৪), হলদিয়া গ্রামের মৃত রুস্তম আলী সরকারের পুত্র মোহাম্মদ আব্দুল গফুর (গেজেটে নং-৬৩৯৫) এবং কুড়ালিয়া গ্রামের মৃত চান মামুদের পুত্র মো. আবঃ হালিম (গেজেটে নং- ৬০৪৩) ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা। ভারতীয় তালিকা, মুক্তিবার্তা অথবা ২০০৫ সালের গেজেটে তাদের নাম ছিলনা।
মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রনালয়ের নির্দেশক্রমে ২০১৭ সালের ৩০ এপ্রিল মধুপুর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা তালিকা যাচাইবাছাই কমিটির সভায় ওই তিনজনকে ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে চিহ্ণিত করে জামুকাতে প্রতিবেদন পাঠানো হয়। কিন্তু জামুকা এবং মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রনালয়ের এক শ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তা বিপুল অঙ্কের উৎকোচ নিয়ে সম্প্রতি এদেরকে মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে জাতীয় তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করে সনদ, গেজেট ও ভাতাসহ সকল প্রকার সুযোগসুবিধার ব্যবস্থা করেন। প্রতিকার চেয়ে উপজেলার সকল মুক্তিযোদ্ধারা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু প্রভাবশালী চক্রটি স্থানীয় প্রশাসণের উপর চাপ দিয়ে ভাতা উত্তোলন করে নিচ্ছেন। তারা ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা তৈরির কারখানা বন্ধের ও দাবি জানান।
এ ব্যাপারে মধুপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রমেন্দ্র নাথ বিশ্বাস ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, ভূয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়কে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
সম্পাদক : অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন | নির্বাহী সম্পাদক : কে এম মিঠু
প্রকাশক কার্যালয় : বেবি ল্যান্ড, বাজার রোড গোপালপুর, টাঙ্গাইল -১৯৯০, বাংলাদেশ।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত - ২০১৯-২০২৩