অনন্ত! আমি আসবো
আমি আসবো তোমার নয়ন দুয়ারে।
আসবো বুনো কল্পনার অবসান ঘটিয়ে
গোধূলীর এক মহাকাব্যিক প্রহরে।
অজস্র দিনের সহস্র অপেক্ষার গণ্ডি ভেদ করে,
আমি আসবো তোমার দৃষ্টিপটে।
অনন্ত! তুমি দেখবে
তুমি দেখবে নয়নে নয়ন ভরে
বহু আকাঙ্ক্ষিত ইচ্ছের সীমানা জুড়ে।
না কোন সমাজরীতি না
ধর্মনীতি সেদিন প্রাচীর তুলে দাঁড়াবে!
অনন্ত! আমি সাজবো
তোমার সুপ্রিয় শুভ্র রঙে।
হেমন্তের কাশফুলের ভাঁজে ভাঁজে
লুকোচুরি কথা ছিল দুজনের।
আমি লুকোবো!
শুভ্র শাড়ির আঁচল উড়িয়ে
হারাবো অচেনা মেঘের গেরুয়া পালকে।
তুমি খুঁজবে!
মহাশূন্যের ছায়াপথ ধরে
তারকারাজির দেশে।
মুঠোফোনের সুদীর্ঘ আলাপন
এসে নতজানু হবে
প্রথম দেখার নৈসর্গিক
স্মৃতিপটের দ্বারে।
অনন্ত! তুমি বলবে
আমি শুনবো সে কথাগুলো,
মুখোমুখি বলবে বলে
জমিয়ে রেখেছিলে।
অনন্ত! আমাকে ডেকোনা
আমাকে তাকাতে বলোনা
তোমার অধীর দৃষ্টি পানে,
লজ্জাবতী লতার মত
নেতিয়ে যাবে লাজুক পাপড়ি।
এক নজর দেখার তীব্র বাসনার
একফোঁটা লোনাজল যখন...
আমার কপোল ছুঁয়ে যাবে,
এতটুকুই পরম প্রাপ্তির
ইহলৌকিক লেনদেন।
কালেমা শাহাদত অথবা
বল হরি হরিবল
সুরেলা গুঞ্জন ধ্বনিতে
এক পা এক পা করে
হারিয়ে যাবো ধীরে।
জীবন নাট্যের প্রথম আর
অন্তিম দর্শনের মহামিলনে,
তুমি না হয় গোলাপ ফেলে
রজনীগন্ধা হাতে এসো।
৭ মার্চ ২০১৮
সম্পাদক : অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন | নির্বাহী সম্পাদক : কে এম মিঠু
প্রকাশক কার্যালয় : বেবি ল্যান্ড, বাজার রোড গোপালপুর, টাঙ্গাইল -১৯৯০, বাংলাদেশ।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত - ২০১৯-২০২৩