“তেলেই শক্তি, তেলেই মুক্তি। তেলই সত্য, তেলই ধর্ম। তেল মারুন, জীবন গড়ুন।”
এক তেল নিয়ে হায়রে রঙ্গ আমাদের এই বঙ্গে! তাছাড়া সময়টাইতো এখন তেলেরই ! চারিদিকে শুধু তেল আর তেলবাজদের জয়জয়কার। কার সর্বোৎকৃষ্ট জায়গায় কিভাবে তেল মারা যায়, তার জন্য তেলবাজরা হন্যে হয়ে ছুটছে! তেল মারতে মারতে একেকজনের গায়ের চামড়া উঠে গেলেও তেলবাজরা কখনো ক্ষান্ত হয়না। তারা তেলের বশ্যতা স্বীকার করে, রক্ত-মজ্জায় তৈলবিদ্যায় অনেকটা পারদর্শী হয়ে, উদ্দেশ্য হাসিল না হওয়া পর্যন্ত একের পর এক খুঁজতেই থাকে কাকে কতো তেল মারা যায়।
তেল এখন সমাজের একটি অঙ্গ, আমাদের মনোজগতের খাদ্য। কাউকে তেল দেয়া ছাড়া আমরা যেন কিছু ভাবতেও পারিনা, বলতেও পারিনা, চলতেও পারিনা এমনকি কিছু অর্জনও করতে পারিনা। এ তৈলবিদ্যাটি যে যত বেশি আয়ত্ব করতে পেরেছে, জীবনে সে ততটাই উন্নতি করেছে। অন্যকে কিভাবে তেল মারা যায়, তার কায়দা কানুন জানতেই আমরা সব সময় ব্যস্ত হয়ে থাকি, অথচ নিজের জ্ঞান-বুদ্ধিকে শাণিত করতে, নিজেকে কখনো তেল মারার কথা আমরা চিন্তাও করিনা।
তেলখেকো বাজারি কুকুরের গায়ে যেমন লোম থাকে না, তেমনি কিছু তেলবাজ সর্বক্ষেত্রেই তেলবাটিসহ তেলমালিশ করায়, ভালো-মন্দ, সত্য-মিথ্যার বোধশক্তিও লোমহীন হয়ে পড়েছে। আর লোমহীন হবেই না কেন? বিয়ে উপযোগি পাড়ার সবচেয়ে সুন্দরী মেয়েটি যেমন অনেকের কাছেই লোভনীয়, তেমনি লোকলজ্জাহীন পা‘চাটা আর তেল মারতে জানা লোকও ইদানিং গ্রাম-শহরে, অফিস-আদালতে, প্রতিষ্ঠান-সংগঠনে পরম কাক্ষিত। কেননা আমাদের দেশে যত্নসহকারে তেলমারা পেশার লোক ছাড়া কিচ্ছু হয়না।
১২ নভেম্বর, ২০১৭ খ্রি.
সম্পাদক : অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন | নির্বাহী সম্পাদক : কে এম মিঠু
প্রকাশক কার্যালয় : বেবি ল্যান্ড, বাজার রোড গোপালপুর, টাঙ্গাইল -১৯৯০, বাংলাদেশ।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত - ২০১৯-২০২৩