নিজস্ব সংবাদদাতা : “শেখ হাসিনা জনগণের কথা বলার অধিকার নিয়ে ভাবেন, শিক্ষা, কৃষি, স্বাস্থ্য, নারী উন্নয়নের কথা ভাবেন। কিভাবে জনগণকে ক্ষমতায়ন করা যায় তা নিয়ে তিনি ভাবেন। এককথায়- জনগণকে নিয়ে যদি কেউ চিন্তা করেন তিনি হচ্ছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা”। গত সোমবার দুপুরে ঢাকা থেকে সিরাজগঞ্জ যাবার পথে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা রিসোর্টে স্থানীয় যুবলীগ কর্তৃক আয়োজিত যুব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী এসব কথা বলেন।
যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, বিশ্বে শান্তি আনতে জনগণকে অধিকার দিতে হবে। তাহলে উন্নয়ন সম্ভব। টাকা যে বেশি কামায়, যার ক্ষমতা বেশি আছে, তার সংসারে শান্তি নাই। শুধু ক্ষমতা, ক্ষমতা করবেন না। মনে রাখবেন ক্ষমতা না দেখানোই ক্ষমতা। উপদেশ দেওয়া সহজ কিন্তু উপায় বলে দেয়া কঠিন। বিশ্ব শান্তির দূত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা বিশ্বে চলমান জঙ্গি তৎপরতা বন্ধে কাজ করে যাচ্ছেন। শেখ হাসিনা এখন সারা বিশ্বের একজন সফল ও মডেল প্রধানমন্ত্রীতে পরিণত হয়েছেন।
দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রতি হুশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ক্ষমতা পেয়ে উল্টা-পাল্টা কিছু করলে কোনমতেই ছাড় দেওয়া হবেনা। এমপি-মন্ত্রীদের পুত্র-কন্যাদেরও ছাড় দেয়া হচ্ছেনা। সাধারণ জনগণ খালেদা জিয়ার জঙ্গিবাদ দেখেছে। তারা কিভাবে বায়তুল মোকারম মসজিদে আগুন দিয়েছে, কোরআন পুড়িয়েছে তা জনগণ ভোলেনি। আবার বাংলাদেশের মানুষ রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বও দেখছেন।
ওমর ফারুক চৌধুরী আরো বলেন, “বর্তমান বেগম খালেদা ভীষণ ২০৩০ ঘোষণা দিয়ে জঙ্গীবাদ ছেড়ে এখন নির্বাচনমুখী হয়েছে। আমি যুবলীগের পক্ষ থেকে তাকে প্রথম ধন্যবাদ জানিয়েছি। তিনি জঙ্গীবাদ ছেড়ে নির্বাচনীমুখী হওয়ায় তিনি একটি সঠিক কাজ করেছেন ভেবেছিলাম। কিন্তু পরবর্তীতে তিনি বললেল- তিনি প্রধানমন্ত্রী হলে প্রধানমন্ত্রীর অনেক ক্ষমতা কমিয়ে দেবেন। তখন মনে হলো, এটা খালেদার নিছক পাগলের প্রলাপ।
যুবলীগ চেয়ারম্যান নেতা-কর্মীদের সচেতন করতে বলেন, এখন মেধামননের যুগ, সমঝতার যুগ। যতবেশি সমঝতা করতে পারবেন, জনগণকে সম্মান দিতে পারবেন, তারাই দলের সম্মান পাবেন। আমি যুবলীগের চেয়ারম্যান এই আছি এই নাই। তাই আমি চেষ্টা করি জনগণকে সম্মান দেয়ার। বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কাজ হচ্ছে জননেত্রী শেখ হাসিনার জনগণের ক্ষমতায়নের অধিকার রক্ষায় কাজ করা। আমরাই প্রথম বাংলা একাডেমিতে বই মেলায় বুকস্টল নিয়েছি। কোন সংগঠন নেয়নি। শুধু চাপাবাজির বক্তৃতা এখন আর চলেনা। দলের প্রেসিডেন্ট সেক্রেটারি হচ্ছেন ম্যানেজার। আমাদের কাজ কি? আমাদের কাজ হাউ টু ম্যানেজ। তাই জনগণকে সম্মান দিয়ে ম্যানেজ করেই আগাতে হবে।
কালিহাতী উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক নুরুন্নবী সরকারের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনের এমপি হাসান ইমাম খান সোহেল হাজারী, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জনাব হারুন-অর-রশিদ, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাংগঠণিক সম্পাদক বদিউল আলম বদি, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের উপ-কমিটির সহসম্পাদক, এফবিসিসিআই পরিচালক, খন্দকার মশিউজ্জামান রোমেল (সিআইপি), টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি রেজাউর রহমান চঞ্চল, সহ-সভাপতি খান আহমেদ শুভ, সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন মানিক প্রমূখ।
সমাবেশ শুরুর আগে যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীকে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের উপ-কমিটির সহসম্পাদক, এফবিসিসিআই পরিচালক ও গোপালপুর-ভূঞাপুর আসনের সাংসদ খন্দকার আসাদুজ্জামানের সুযোগ্য পুত্র খন্দকার মশিউজ্জামান রোমেল গোপালপুর-ভূঞাপুর যুবলীগের শতাধিক নেতাকর্মীদের নিয়ে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
সমাবেশে জেলার বিভিন্ন উপজেলার আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সহশ্রাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
সম্পাদক : অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন | নির্বাহী সম্পাদক : কে এম মিঠু
প্রকাশক কার্যালয় : বেবি ল্যান্ড, বাজার রোড গোপালপুর, টাঙ্গাইল -১৯৯০, বাংলাদেশ।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত - ২০১৯-২০২৩