নিজস্ব সংবাদদাতা : সরকারি খালের উপর বাঁধ দিয়ে পুকুর ও গরুর খামার নির্মাণ করায় টাঙ্গাইলের গোপালপুর ও ধনবাড়ী উপজেলার সাড়ে পনেরো শত একর বোরো ফসল বিনষ্টের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা যায়, ধনবাড়ি উপজেলার বলিভদ্র, অলিপুর, পানকাতা ও খিলপাড়া এবং গোপালপুর উপজেলার নিয়ামতপুর ও বাগবেড় গ্রামের নিন্মাঞ্চলের পানি বাগবেড়-হুশনাবাড়ি খাল হয়ে বৈরান নদীতে পড়ে। গোপালপুর উপজেলার নিয়ামতপুর গ্রামের জনৈক আইয়ুব আলীর পুত্র আসাদুজ্জামান ওরফে সোহেল ওই খালে বাঁধ দিয়ে পুকুর বানিয়ে মাছ চাষ এবং গরুর খামারের ঘর উঠিয়েছে। ফলে ভাটির নিন্মাঞ্চলের পানি নিস্কাশন না হওয়ায় জলাবদ্ধতায় থোড় ও আধা পাঁকা বোরো ধান তলিয়ে গেছে।
বাগবেড় গ্রামের কৃষক আব্দুল মজিদ জানান, ২০০৭ সালে সরকার কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচির আওতায় প্রায় ৫ লক্ষ টাকা ব্যায়ে খালটি সংস্কার করেন। কিন্তু সাত মাস আগে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে আসাদুজ্জামান ওরফে সোহেল পানি নিস্কাশনের খাল বন্ধ করে দেয়। ফলে গত নভেম্বরে জলাবদ্ধতায় আড়াইশ একর বোর বীজতলা পঁচে যায়। পানি নিস্কাশন না হওয়ায় গত জানুয়ারী মাসে শতাধিক একরে বোরো ধান লাগানো যায়নি। ওই জমি পতিত থেকে যায়। এদিকে সাম্প্রতিক বর্ষণে দুই হাজার একর বোরো জমিতে কোমর পানি দাড়িয়ে আছে। সিংহভাগ ধান পঁচে যাচ্ছে।
পানকাতা গ্রামের কৃষক আবুল কালাম জানান, খালের প্রবাহ চালুর জন্য কৃষকরা গত ডিসেম্বরে গোপালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ দেন। তদন্তের দায়িত্ব পান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা। তিনি গত জানুয়ারী মাসে সরেজমিন তদন্তে ঘটনার সত্যতা পেয়ে রিপোর্ট জমা দেন। কিন্তু উপজেলা প্রশাসণ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানান, এ বিষয়ে শীঘ্রই ব্যবস্থা নেয়া হবে। মতামত জানার জন্য আসাদুজ্জামান ওরফে সোহেলকে মোবাইলে রিং দিলে সাংবাদিক পরিচয় পাওয়া মাত্র লাইন কেটে দেয়।
সম্পাদক : অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন | নির্বাহী সম্পাদক : কে এম মিঠু
প্রকাশক কার্যালয় : বেবি ল্যান্ড, বাজার রোড গোপালপুর, টাঙ্গাইল -১৯৯০, বাংলাদেশ।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত - ২০১৯-২০২৩