আমি শায়লা আক্তার সাথী। গোপালপুরের মেয়ে। ঢাকায় থেকে তিতুমীর কলেজে পড়ি।
গোপালপুর বার্তা’র একজন নিয়মিত পাঠক হিসেবে আমি আমাদের গোপালপুরের ‘দ্রুতগামী বাস সার্ভিস’ সম্পর্কিত কিছু অভিযোগ তুলে ধরছি- গত ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, শুক্রবার, দুপুর ১:৪৫ মিনিটের একটি বাস, যার নং-১৪-৭৪৬১, ড্রাইভার আনোয়ারের গাড়ীতে আমার বাবা আমার এবং আমার বোনের জন্য বিভিন্ন প্রকার জিনিস নিয়ে ঢাকা আসছিলো, আমাদের ঐ বস্তাটা গাড়ির বক্সে দেয়া হয়েছিলো, আর বলা হয়েছিলো এই বস্তাটা মহাখালীতে নামিয়ে দিতে।
আমার বাবা বাসের হেল্পারকে মহাখালিতে বস্তাটি নামিয়ে দেয়ার কথা স্মরণ করিয়ে দিলে, হেলপার রাগান্বিত স্বরে বলে- আপনার বস্তা আপনাকে দিলেইতো হলো। আমাদের ঐ বস্তায় চাউল, শাকসবজি, পিঠার উপকরণ ও জামা কাপড়সহ প্রায় ৪০০০ টাকার জিনিস ছিলো।
কিন্তু বাসের হেলপার খিলক্ষেত পর্যন্ত আসলে আমাদের বস্তাটা অন্য এক যাত্রীকে দিয়ে দেয়। এবং অন্য এক যাত্রীর বস্তা আমাদেরকে দেয়। দুঃখের বিষয় আমার বাবাকে দেয়া বস্তায় ৫০০-৭০০ টাকার জিনিষ ছিলো। আমরা সাথে সাথেই বিষয়টা বাস কাউন্টারে জানাই। কিন্তু কোন লাভ হয় না আর যে ব্যক্তি বস্তাটা নিয়ে গেছে সেও কোন যোগাযোগ করেনি বাস কাউন্টারে।
আমার হয়তো কিছু টাকার জিনিস গেছে এ নিয়ে কোন দুঃখ নেই। কিন্তু আমাদের গোপালপুরের বাসে মালপত্র নিয়ে আসলে কোন টোকেন দেয়া হয় না। যার কারনে আমার মতো মায়ের হাতের মমতা মাখা হাজারো জিনিস শুধু মাত্র হেলপার, কন্ট্রাকটরদের দায়িত্ব অবহেলার কারণে অনেকেই হয়রানি হয় অথবা নিজের জিনিসপত্র সঠিক ভাবে বুঝে পায় না। আমি গোপালপুর বার্তার মাধ্যমে বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দ্রুতগামী বাস কর্তৃপক্ষকে সুনজর দেয়ার অনুরোধ করছি। - শায়লা আক্তার সাথী, ঢাকা।
সম্পাদক : অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন | নির্বাহী সম্পাদক : কে এম মিঠু
প্রকাশক কার্যালয় : বেবি ল্যান্ড, বাজার রোড গোপালপুর, টাঙ্গাইল -১৯৯০, বাংলাদেশ।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত - ২০১৯-২০২৩