বাংলার প্রাচীন রাজধানী মুর্শিদাবাদের একাল-সেকাল (১)
জয়নাল আবেদীন : ‘রাজকীয় টাঙ্গা (অশ্বে টানা তিন চাকার গাড়ি) হাজির হতেই সশস্ত্র প্রহরীর ডাক পড়লো ‘কৈ হ্যাঁয় ছাব, জরুর হ্যায়। রওনা দিওঙ্গি।’ পোশাক আগেই গুছিয়ে রেখেছিলাম। এক প্রকার দৌড়ে টাঙ্গায় আরোহন করলাম। রাজধানী মুর্শিদাবাদের লালবাগ মোড়ের রাজকীয় মেহমানখানা থেকে টাঙ্গা ছুটলো নবাবের হিরাঝিল প্রাসাদের দিকে। সাথে ছিল দুই নবাবী পাইক। সামনেই ¯্রােতস্বীনি ভাগীরথী। সেটি পাড়ি দিলেই ওপারে হিরাঝিল। পঙ্খীরাজ বিশালকায় নৌকায় টাঙ্গাসহ ভাগীরথি পাড়ি দিয়ে ওপারে হিরাঝিল প্রাসাদে পৌঁছতে আনুমানিক ঘন্টা লেগে যায়। তখন সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত নেমেছে। আকাশে ছিল পূর্ণ চাঁদ। জোছনা প্লাবিত রাতেও লাখো বাতির ঝলকে হিরাঝিল ও এর আশপাশ ঝলমল করছিলো।
সতর্ক পাহারা পেরিয়ে প্রাসাদের প্রধান ফটক পাড়ি দিয়ে বামে ঘুরতেই সর্পিল অলিন্দ ঠেকেছে কারুকার্যময় জলসা ঘরে। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি তথা ইংরেজদের পরাস্ত করে কোলকাতা দখলকে ঘিরে মুর্শিদাবাদে চলছে আনন্দের ঢেউ। এ উপলক্ষে নবাব প্রাসাদে জলসা। বাংলার নবাবকে কুর্ণিশ করে বিদেশির জন্য পেছনের সারিতে রাখা আসন নিলাম। নবাবের মাথায় দামি শিরস্ত্রাণ। গায়ে চোখ ধাঁধানো রাজকীয় পোষাক। তরুন নবাবকে খুব কাছ থেকে দেখলাম। মনে হলো খুব সাহসী ও উদ্যমী। তিনি বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যা শাসন করেন। দিল্লীর মুঘলদের নামেমাত্র কর দেন। দরবারে আদবকায়দা, চলনবলন হচ্ছিলো ফার্সিতে। কারণ বাংলাসহ সমগ্র ভারতবর্ষের রাজ ভাষা ফার্সি। আমি ইউরোপ থেকে এ উপমহাদেশে এসেই ফরাসি কুঠিরে দোভাষীর নিকট থেকে যৎসামান্য ফার্সি রপ্ত করেছিলাম। তা দিয়েই চালাচ্ছি।
পিনপতন নিরবতায় নবারের বাণী পরিবেশনের পর দিল্লী ও লখঁনৌ থেকে আসা নামিদামি শিল্পী ও বাঈজীদের নাচগান শুরু হলো। রাত গভীর অবধি তা চললো।’ ফরাসি সেনাপতি ‘মঁিশয়ে লা’ এর শিষ্য ‘এলবা মিওছি’ তার আত্মজীবনী গ্রন্থে বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজ সম্পর্কে স্মৃতিচারণে এমন বর্ণনা দিয়েছেন। তিনি সেদিন জোছনা ভেজা রাতে টাঙ্গায় মুর্শিদাবাদ ভ্রমণ করে বাংলার প্রাচীন রাজধানীর গৌরব ও অপরুপ সৌ›ন্দর্যের প্রশংসা করেছেন।
‘এলবা মিওছি’ এর বর্ণনার সময়কাল ১৭৫৬ সালের ফেব্রুয়ারী। আর এর ২৬১ বছর পর গত ৯ ফেব্রুয়ারী ২০১৭ মুর্শিদাবাদ নগরী পরিদর্শনে গিয়ে বাংলা ও বাঙ্গালীর সমৃদ্ধ ইতিহাসকে খুঁজে বেড়িয়েছি। দেখেছি হিরাঝিল প্রাসাদের ধংসাবশেষ। যেখানে নবাব সিরাজ বসে মাত্র চৌদ্দ মাস দেশ শাসন করেছেন। ভাগীরথির ভাঙ্গনে এখন সেই হিরাঝিল প্রাসাদের অস্তিত্ব দেখা যায়না। ভাঙ্গাচোরা ইটপাথর ছড়িয়েছিটিয়ে রয়েছে সেখানে। ১৭৫৭ থেকে ২০১৭। দুইশ ষাট বছরে ভাগীরথি নদী দিয়ে অনেক জল গড়িয়ে গেছে। অনেক ইতিহাসের উত্থান পতন ঘটেছে। তবু কালের সাক্ষী হয়ে দাড়িয়ে রয়েছে নবাব ও তার পরিবারের সদস্যদের সমাধি। আর নবাব সিরাজ এখনো মহানায়ক হয়ে বেঁচে আছেন প্রতিটি বাঙ্গালীর হৃদয়ে। প্রতিটি সংগ্রাম, ত্যাগ ও তিক্ষিায়।
মুর্শিদাবাদে গিয়ে হৃদয়ের রক্তক্ষরণ নিয়ে অবলোকন করেছি ভাগীরথি নদীর পশ্চিম পাড়ে নির্জন স্থানের খোশবাগ। যেখানে নবাব সিরাজের সমাধি। তার পায়ের কাছেই সমাহিত স্ত্রী লুৎফন্ন্ছো। ডানে কৃষ্ণ পাথরে মোড়া সমাধিতে শায়িত দাদু আলীবর্দি খান। যিনি ছিলেন বাংলা, বিহার, উড়িষ্যার নবাব। ১৭৫৬ সালে নবাব আলীবর্দি পরলোকগমন করলে এ খোশবাগে রাস্ট্রীয় মর্যাদায় তাকে দাফন করা হয়। ইন্তেকালের পূর্বে তিনি তার কনিষ্ঠ কণ্যা আমেনার গর্ভজাত পুত্র সন্তান বাইশ বছর বয়সের সুদর্শন তরুন সিরাজকে বাংলার সিংহাসনের উত্তরাধিকারি মনোনিত করে যান। লাল দেয়ালে ঘেরা তিন একর খোশবাগের ঐতিহাসিক সমাধি সৌধের প্রবেশ পথে সুন্দর করে সাজানো উদ্ভিদরাজি। হরেক ফুলের বাগান। তিন স্তরে পৃথক পৃথক ভবনে নবাব পরিবারের আলাদা আলাদা সমাধি। এর মধ্যে নবাব সিরাজ, বেগম লুৎফুনেচ্ছা, নবাব আলীবর্দি খান এর সমাধি সাদা ও কালো পাথরে মোড়াই করা। পুরো চত্বর দামি টাইলসে ঘিরে দিয়েছে ভারতীয় প্রতœতত্ব অধিদপ্তর। দাদু আলীবর্দি এবং নাতি সিরাজের সমাধি শিয়রে সাদা পাথরে ফার্সিতে খোদাই করা উৎকীর্ন নাম। কাছে গিয়ে দাড়ালে ভক্তি আর শ্রদ্ধায় আপনারও মাথা নত হতে বাধ্য। ১৯৬৫ সালে যখন তৃতীয় শ্রেণীতে পড়তাম- তখন সমাজবিদ্যা বইয়ে শিক্ষকরা পলাশী যুদ্ধ, নবাব আলীবর্দি আর নবাব সিরাজের ইতিহাস, তাদের অশ্রসিক্ত ও গ্লানির কথা পড়েছি। পায়ের জুতো খুলে উভয় নবাবের সমাধি পাশে দাড়িয়ে কবর জেয়ারত করলাম ভক্তিমনে। সাথে যোগ দিলেন আরো কয়েক বিদেশি পর্যটক।
বলে রাখা ভালো প্রধান ফটক দিয়ে ঢুকে পনেরো গজ চত্বর পাড়ি দিলে প্রথম ভবনের দরজার নাগালে পড়বে নবাব আলীবর্দি খানের সহধর্মিনী বেগম শরীফুনেচ্ছার সমাধি। আরো দশ গজ পরে আলেয়ার সমাধি। যার ইতিহাস নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখেনা। বাংলার মুসলিম শাসকদের সেই লাগামহীন ভোগবিলাসিতা, অধঃপতন আর বিশ্বাসঘাতকতার যুগে আলেয়া ছিলেন মুর্শিদাবাদ শহরের বিখ্যাত বাঈজী। কারো কারো মতে নবাবের গুপ্তচর। সবচেয়ে বড় কথা নবাবের প্রধান সেনাপতি মিরজাফরসহ অন্যান্য সেনাধ্যক্ষ ও আমত্যরা যখন বিশ্বাসহন্তার পেয়ালায় নাক চুবিয়েছিলেন-তখন আলেয়া নিজের দেশপ্রেম আর নবাবের প্রতি অকৃত্তিম ভালোবাসা নিয়ে বাংলার পাশে বাঙ্গালীর ইতিহাসের পাশে জীবন দিয়ে দাড়িয়েছিলেন। এ কাজে সহযোগিতা করেছিলেন স্বামী গোলাম হোসেন। তিনিও ছিলেন নবাবের বিশ্বস্ত অনুচর। আলেয়ার পরিচিতি আর পেশা যাই হোক না কেন সবচেয়ে বড় কথা দেশপ্রেম তাকে ইতিহাসে মহীয়ান করে তুলেছে। পলাশীর পরাজয়ের পর সিরাজকে যখন বন্দী করে মুর্শিদাবাদে নিয়ে আসা হয় সেদিন আলেয়াকেও গ্রেফতার ও হত্যা করা হয়।
আলেয়ার কবর থেকে ডানে তাকালে পাবেন নবাবের খালা ঘসেটি বেগমের সমাধি। তিনি ছিলেন আলীবর্দির বড়কণ্যা। অর্থাৎ সিরাজের বড়খালা। তার স্বামীর নাম নওয়াজিশ আহমেদ। ঘসেটি বেগমের পাশেই স্বামী নওয়াজিশ আহমেদের কবর। নিঃসন্তান ঘসেটি ছিলেন খুবই সুন্দরী। তবে অহংকারি, দেমাগি, ক্ষমতালোভী ও অর্থগৃধূ। মিরজাফরের সাথে যোগ দিয়ে ঘসেটি বেগম নবাব সিরাজকে ক্ষমতাচ্যূত করার ষড়যন্ত্রে অংশ নেন। এভাবে ঘরেবাইরে তরুন নবাবের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার লাভ করে। পলাশীতে সিরাজ পরাজিত হয়ে প্রাণ হারান। আর ইংরেজদের হাত ধরে মিরজাফর বাংলায় নামেমাত্র নবাব হন। এরপর মিরজাফর পুত্র মিরন নবাব আলীবর্দি ও সিরাজের আপনজন ও বংশধরদের নির্বংশ শুরু করেন।
সিরাজের মাতা আমেনা বেগম, খালা ঘসেটি বেগম, নানী শরীফুনেচ্ছা এবং স্ত্রী লুৎফনেচ্ছাকে বন্দী করে নৌকায় পাঠানো বাংলাদেশের ঢাকায়। ঢাকার বর্তমান জিঞ্জিরায় কারাগারে বন্দী রাখা হয়। মিরনের নির্দেশে সিরাজের মাতা আমেনা বেগম এবং খালা ঘসেটি বেগমকে বুড়িগঙ্গা নদীতে ডুবিয়ে প্রাণনাশ করানো হয়। কিন্তু সৌভাগ্যক্রমে নানী বেগম শরীফুনেচ্ছা ও স্ত্রী লুৎফনেচ্ছা প্রানে বেঁচে যান। পরবর্তীতে মুর্শিদাবাদে নিয়ে তাদের নজর বন্দী করে রাখা হয়। এভাবে নবাব সিরাজের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারি ঘসেটি বেগম তারই সহযোগি মিরনের হাতে প্রাণ হারান। একই ভবনের ডান পাশে সিরাজের মাতা আমেনা বেগমের কবর। পাশেই সিরাজের বাবা জয়েনউদ্দীনের সমাধি। জয়েনউদ্দীন বিহারে মারাঠা বিদ্রোহ দমনে গিয়ে অল্প বয়সেই শত্রুর হাতে প্রান হারান। বিধবা আমেনা মুর্শিদাবাদে বাবা আলীবর্দির নিকট ফিরে আসেন। পুত্র সিরাজ বাংলার সিংহাসনে বসলে স্বামী হারানো শোক ভুলে যান আমেনা। কিন্তু বিধি বাম। স্বামী ও পুত্রের করুন মৃত্যূর পর মিরনের হাতে বন্দী হয়ে লাঞ্জিত ও চরম অপমানিত হন তিনি। শেষ পর্যন্ত বুডিগঙ্গায় সলিল সমাধি রচিত হয় তার।
দ্বিতীয ভবনের প্রথমেই পড়বে নবাব সিরাজের সমাধি। বাঙ্গালীর শত শত বছরের গ্লানি আর কষ্টের আঁধার এ সমাধি। নবারের পায়ের কাছে লুৎফুনেচ্ছার কবর। পাশেই একমাত্র সন্তান জোহরার সমাধি। সিরাজের বাম পাশের সমাধিটি তার কনিষ্ঠ ভ্রাতা মির মেহেদীর। আগেই বলেছি, সিরাজ হত্যাকান্ডের পর মিরজাফরের পুত্র মিরন সিরাজের বংশধরের সকলকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। এজন্য সিরাজের নাবালক ভ্রাতা এগারো বছরের কিশোর মির মেহেদীকে বন্দী করে নিজ কুটিরে নিয়ে যায় মিরন। সেখানে বুকে তক্তা বা বাঁশচাপা দিয়ে হত্যা করা হয় তাকে। সিরাজের অপর ভ্রাতা একরামউদ্দৌলাহ আগেই মারা গিয়েছিলো। কিন্তু তদীয় পুত্র (সিরাজের ভাতিজা) মুরাদ্দৌলাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। তৃতীয় ভবন পেরুলে খোলা মাঠের তিনতিনটি সমাধি। এর প্রথমটি সিরাজের বিশ্বস্ত অনুচর গোলাম হোসেনের। আপনরা যারা সিরাজউদ্দৌলাহ নাটক বা সিনেমা দেখেছেন তারা নিশ্চয়ই ‘উপায় নেই গোলাম হোসেন’ ডায়লগের সাথে পরিচিত? এ সেই গোলাম হোসেন। সিরাজকে হত্যার আগে সমব্যাথি গোলাম হোসেনকে অমানুষিক নির্যাতন করা হয়। নির্যাতনে সিরাজের সামনেই ঢলে পড়ে আলেয়ার স্বামী গোলাম হোসেন। সেই বিশ্বাসঘাতকতার যুগে সবচেয়ে বিশ্বস্ত অনুচর ছিল গোলাম হোসেন। সব শেষে একতলা মসজিদ। নবাব আর্লীর পরলোকগমনের পর খোশবাগের এ গোরস্তানে মসজিদটি নির্মাণ করা হয়। যেন কবর জেয়ারত করতে আসা ভক্তরা ওয়াক্তের নামাজ আদায় করতে পারেন।
এখানে এসে ইতিহাসের পাতা উল্টে নবাব আলীবর্দি খান ও নবাব সিরাজের সমাধির সারির বিপরিতে খুঁজে পেলাম বাংলার বিশ্বাস হন্তা মোহাম্মদী বেগের কবর। ইটসিমেন্টে গাথা খুনি মোহাম্মদী বেগের কবর খোশবাগে দেখে মর্মাহত হয়েছিলাম। এখানে এসে দর্শকরা প্রায়শঃ থেমে যায়। অনেকে প্রকাশ্যে অভিসম্পাত ও ঘৃণা প্রকাশ করে। মোহাম্মদী বেগ শুধু নবাব সিরাজকেই হত্যা করেননি। বাংলার ইতিহাসের গৌরবময় যুগকে হত্যা করে বাঙ্গালী জাতিকে দুইশ বছরের গোলামির জিঞ্জির পরিয়ে দেয়। ইতিহাসের এমন জঘন্য ও নৃশংশ ঘটনার পরও কেন, কিভাবে নবাব সিরাজের সমাধির অনতিদুরে কুলাঙ্গার মোহাম্মদী বেগের সমাধি রচিত হয়েছিল? এ প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন ব্রিটিশ ঐতিহাসিক লর্ড ডয়েজ। তার ভাষায় ‘তখন বাংলায় নবাব মির জাফরের শাসন। তবে সব চলছিলো মিরনের ইশারায়। নবাব সিরাজের হত্যাকান্ডের বছর না পেরুতেই মোহাম্মদী বেগ মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। সব সময় সিরাজের নিমর্ম হত্যাকান্ডের দৃশ্য নাকি তার মানসলোকে ভেসে উঠতো। এজন্য রাতে ঘুমাতে পারতেন না। দীর্ঘ দিন নির্ঘুম কাটিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। আবোলতাবোল বকতে থাকেন। একপ্রকার মানসিক বিকারগ্রস্ত হয়ে মারা যান মোহাম্মদী বেগ। তার কুকর্মের নির্দেশদাতা মিরজাফর পুত্র মিরনের নির্দেশে মোহম্মদী বেগকে খোশবাগে নবাব আলীবর্দি ও নবাব সিরাজের সমাধি সৌধের অনতিদূরে দাফন করা হয় বলে কথিত রয়েছে।’
যে মোহাম্মদী বেগকে রাস্তা থেকে কুড়িয়ে এনে আলীবর্দি খান চাকরি দিয়েছিলেন, প্রতিষ্ঠা দিয়েছিলেন, সেই অকৃতজ্ঞ, বেঈমান মোহাম্মদী বেগ প্রতিদান দিয়েছিলেন আলীবর্দির প্রিয় দৌহিত্র সিরাজকে নৃশংস হত্যার মধ্য দিয়ে। মোহাম্মদী বেগ সেদিন শুধু সিরাজকেই হত্যা করেনি- সমগ্র বাঙ্গালী জাতির বুকে সে ছুরি বসিয়ে দিয়েছিল। এজন্য মিরজাফর আর মোহাম্মদী বেগ সর্বকালে সর্বজনের নিকট সমভাকে ধিকৃত ও ঘৃণিত। খোশবাগে নবাব আলীবর্দি ও নবাব সিরাজের পরিবারের পবিত্র সমাধি চত্বরে মোহাম্মদী বেগের মতো অকতৃজ্ঞ ও কুলাঙ্গারের শেষ শয্যা পাতানো দেখে ইতিহাস যুগের পর যুগ ধরে অশ্রু বির্সজন করছে।
আগামী পর্বে নবাব আলীবর্দি ও নবাব সিরাজের চমৎকৃত সব তথ্য দিয়ে ধারাবাহিকভাবে প্রতিবেদন সাজানোর আশা রাখছি। গোপালপুর বার্তার পাঠকরা চোখ রাখুন।
প্রতিবেদক : গোপালপুর বার্তা ২৪.কম এডিটর, দৈনিক ইত্তেফাকের গোপালপুর সংবাদদাতা এবং মধূপুর কলেজের ইতিহাস বিভাগের সহকারি অধ্যাপক।
সম্পাদক : অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন | নির্বাহী সম্পাদক : কে এম মিঠু
প্রকাশক কার্যালয় : বেবি ল্যান্ড, বাজার রোড গোপালপুর, টাঙ্গাইল -১৯৯০, বাংলাদেশ।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত - ২০১৯-২০২৩