যুদ্ধাপরাধের বিচার ইনশআল্লাহ আগামী বিজয় দিবসের আগেই হবে। এবং রায়ও কার্যকর করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।
রোববার জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর তিনি সাংবাদিকদের কাছে এই কথা বলেন।
মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের ৪১ বছর পূর্তি পালন করছে দেশ।
বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের উদ্যোগ শুরু হয়।
২০১০ সালের ২৫ মার্চ গঠিত হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত করতে পরে আরেকটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়।
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ, লুটপাটসহ মানবতাবিরোধী বিভিন্ন ঘটনায় জামায়াতে ইসলামীর সাবেক ও বর্তমান আমীরসহ শীর্ষ নয় নেতা এবং বিএনপির দুই নেতার বিচার চলছে এই ট্রাইব্যুনালে। ইতোমধ্যে কয়েকটি মামলা পৌঁছেছে শেষ পর্যায়ে।
এই যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবি প্রতিধ্বনিত হয়েছে বিজয় দিবসের সকালেও। স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে আসা অনেকের হাতেই ফুল আর পতাকার সঙ্গে দেখা গেছে সেই দাবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড।
নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর রমনার রেসকোর্স ময়দানে আত্মসমর্পণ করে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। বিশ্বের মানচিত্রে আবির্ভূত হয় স্বাধীন বাংলাদেশ।
সকালে শেরে বাংলা নগরে জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে (পুরনো বিমানবন্দর) ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্যদিয়ে মহান বিজয় দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভোর ৬টা ২৫ এ স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
বিরোধী দলীয় নেতা খালেদা জিয়া শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য স্মৃতিসৌধে যান সাড়ে ৭টার দিকে।
ভোর থেকেই কুয়াশার মধ্যে হাজার মানুষ জড়ো হন স্মৃতিসৌধের সামনে। প্রধানমন্ত্রী ও বিদেশি কূটনীতিকরা চলে যাওয়ার পর জাতীয় স্মৃতিসৌধ খুলে দেওয়া হয় সবার শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য।