টাঙ্গাইলে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মজলুম জননেতা মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সন্তোষ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ও টেকনিক্যাল কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এ কর্মসূচি পালন করে।
সকালে টাঙ্গাইলের সন্তোষে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাসানীর মাজার প্রাঙ্গণে পুষ্পস্তবক অর্পণ, মোনাজাত ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করছে ভাসানী অনুসারীরা। এসময় দলমত নির্বিশেষে সর্বস্তরের জনগণ এ নেতার মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে ভাসানীর মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ডা. মোহাম্মদ আলাউদ্দিন। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
ভাসানীর পরিবারবর্গের পক্ষ থেকে মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করাসহ টাঙ্গাইল প্রেসক্লাব, আলেমা খাতুন ভাসানী হল, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান হল, খোদাই খেদমতগার, ভাসানী ফাউন্ডেশন, ভাসানী স্মৃতি পরিষদ, ন্যাপ ভাসানী, জেলা আওয়ামী লীগ, জেলা বিএনপি, জাতীয় পাটি, কৃষক শ্রমিক জনতালীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মাজার প্রাঙ্গণে ওরস শরীফ ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।
ওরসকে সামনে রেখে দু’দিন ধরেই দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ভাসানীর ভক্ত ও মুরিদরা এসে উপস্থিত হয়েছেন। অশ্রুসিক্ত নয়নে তারা প্রয়াত নেতার আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী তার কৈশোর-যৌবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। দীর্ঘদিন তিনি তৎকালীন বাংলা-আসাম প্রদেশ মুসলিম লীগের সভাপতি ছিলেন।
লাইন-প্রথা উচ্ছেদ, জমিদারদের নির্যাতন বিরোধী আন্দোলনসহ সারাজীবনই তিনি সাধারণ মানুষের কল্যাণে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন। তার উদ্যোগে ১৯৫৭ সালে কাগমারীতে অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক কাগমারী সম্মেলন বাংলাদেশের রাজনীতিতে মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনি সর্বদলীয় ওয়ার কাউন্সিলের উপদেষ্টা ছিলেন। স্বাধীনতার পর তার সর্বশেষ কীর্তি ফারাক্কা লং মার্চ।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অত্যন্ত স্নেহ করতেন মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী। বঙ্গবন্ধুও তাকে শ্রদ্ধা করতেন বাবার মতো।
১৯৭৬ সালের ১৭ নভেম্বর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৯৬ বছর বয়সে দেশ বরেণ্য এ নেতা মৃত্যুবরণ করেন। তাকে টাঙ্গাইলের সন্তোষে দাফন করা হয়। তিনি ১৮৮০ সালের ১২ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জের ধানগড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম হাজী শরাফত আলী খান। তিনি আমৃত্যু কৃষক শ্রমিক মেহনতি মানুষের জন্য সংগ্রাম করেছেন।
সম্পাদক : অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন | নির্বাহী সম্পাদক : কে এম মিঠু
প্রকাশক কার্যালয় : বেবি ল্যান্ড, বাজার রোড গোপালপুর, টাঙ্গাইল -১৯৯০, বাংলাদেশ।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত - ২০১৯-২০২৩