ঘোষণা দিলেও তিতাস গ্যাসের প্রায় সাড়ে ৯ কোটি শেয়ার শীঘ্রই আসছে না।
বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে পুঁজিবাজারে সরকারি মালিকানার এ কোম্পানির আরো ১০ শতাংশ শেয়ার ছাড়ার ঘোষণা আসে।
তিতাস গ্যাসের উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ তৈল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ কর্পোরেশনের (পেট্রোবাংলা) পরিচালনা পর্ষদ তিতাস গ্যাসের আরো ৯ কোটি ৪২ লাখ ১১ হাজার ৬০০টি (১০ শতাংশ) শেয়ার বাজারে ছাড়ার বিষয়টি অনুমোদন করেছে।
বুধবারের বাজার দরে এ শেয়ারের মূল্য প্রায় ৬৮৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকা।
তবে নিয়ন্ত্রণ সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) একটি বিধানের কারণে আরো কয়েকমাস এ শেয়ার বাজারে ছাড়তে পারবে না তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।
২০১০ সালের ২৩ মার্চ জারি করা এক নোটিফিকেশনে এসইসি বলেছে, স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত কোম্পানির কোন স্পন্সর, পরিচালক, কর্মকর্তা বা কর্মচারী, নিরীক্ষক বা নিরীক্ষাকার্যে স্ম্পৃক্ত ব্যক্তি, পরামর্শক বা আইন উপদেষ্টা উক্ত কোম্পানির বার্ষিক হিসাব সমাপ্তির তারিখের দুই মাস পূর্ব হইতে উক্ত হিসাব কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ কর্তৃক চূড়ান্তভাবে বিবেচিত, গৃহীত বা অনুমোদিত হওয়ার তারিখ পর্যন্ত সময়কালে আলোচ্য কোম্পানির শেয়ার ক্রয়, বিক্রয় কিংবা অন্য কোনো প্রকারে হস্তান্তর বা গ্রহণ করিতে পারিবেন না।
তিতাস গ্যাসের বার্ষিক হিসাব শেষ হবে জুন মাসে। আর গত বছরের বার্ষিক হিসাব পরিচালনা পর্ষদের সভায় (এজিএম) অনুমোদন পায় ২৭ অক্টোবর। তার আগের বছরও অক্টোবরে বার্ষিক হিসাব অনুমোদন পেয়েছিল।
ডিএসই ওয়েবসাইটে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এসইসির নোটিফিকেশন অনুযায়ী শেয়ার ছাড়ার নিষিদ্ধ সময়ে রয়েছে তিতাসের উদ্যোক্তা পেট্রোবাংলা । এসইসি নিয়ম মেনে শেয়ার ছাড়া হবে।
২০০৮ সালের পুঁজিবাজারে সরাসরি পদ্ধতিতে তালিকাভুক্ত হয় তিতাস গ্যাস। ৯৪২ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ৯৪ কোটি ২১ লাখ। এর মধ্যে ৭৫ শতাংশ শেয়ারই রয়েছে সরকারের কাছে, বাকিটা বাজারে।
২০১০ সালে পুঁজিবাজারে ঊর্ধ্বমুখী অবস্থার সময় থেকে বাজারে সরকারি শেয়ারের সরবরাহ বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হলেও তার বাস্তবায়ন খুব একটা হয়নি।
গত দুবছরে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সরকারি মালিকানাধীন রূপালী ব্যাংক, যমুনা অয়েল, মেঘনা পেট্রোলিয়াম ও বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের আরো কিছু শেয়ার বাজারে এসেছে।
এর বাইরে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলস ও অ্যাসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড।