নিজস্ব সংবাদদাতা :

একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার আসামী এবং জোট সরকারের সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টু প্রতিষ্ঠিত মেহেরুনেচ্ছা মহিলা কলেজ সরকারিকরণের প্রতিবাদে গোপালপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ টানা দুইদিনব্যাপি হরতাল অবরোধ পালন করছে। প্রথম দিনের কর্মসূচি হিসাবে আজ রবিবার সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করে। ভোর ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত পৌরশহরের কেন্দ্রিয় বাসস্ট্যান্ডে অবরোধ চলাকালে বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান ইউনুস ইসলাম তালুকদার, পৌর মেয়র রকিবুল হক ছানা, শহর আওয়ামীলীগ সভাপতি রফিকুল ইসলাম, গোপালপুর কলেজের অধ্যক্ষ আনোয়ারুল ইসলাম আকন্দ, আওয়ামীলীগ নেতা এবং হেমনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রওশন খান আইয়ুব, আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি প্রকৌশলী খন্দকার গিয়াস উদ্দীন, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মঞ্জুরুল হক ফরিদ প্রমুখ।
উপজেলা চেয়ারম্যান ইউনুস ইসলাম তালুকদার অভিযোগ করেন, ১৯৬৮ সালে প্রতিষ্ঠিত গোপালপুর কলেজেকে দুই বছর আগে শিক্ষা মন্ত্রনালয় সরকারিকরণের কথা জানায়। কলেজে সব ধরনের নিয়োগ বন্ধ করে দেয়। কিন্তু গত ৩০ জুন মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর দপ্তর থেকে সারা দেশের ১৯৯টি কলেজ সরকারিকরণের যে তালিকা প্রকাশ হয় তাতে গোপালপুর কলেজ বাদ দিয়ে ১৯৯৫ সালে আব্দুস সালাম পিন্টু প্রতিষ্ঠিত মেহেরুনেচ্ছা মহিলা কলেজের নাম অর্ন্তভূক্ত করা হয়। ২০১৪ ও ১৫ সালে সরকারি বিরোধী আন্দোলনের সময় এ কলেজটিকে বিএনপির দুর্গ হিসাবে ব্যবহার করা হয়। কলেজ অধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আলম রুবেল বর্তমান উপজেলা বিএনপির সভাপতি। প্রয়োজনীয় অবকাঠামোসহ সরকারিকরণে কোনো শর্তই কলেজটি পূরণ করতে পারেনি। এ মহিলা কলেজ সরকারিকরণে স্থানীয় সাংসদ খন্দকার আসাদুজ্জামানের ডিও লেটার নিয়ে এবং একটি কুচক্রী মহলের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে ভূল তথ্য দিয়ে সরকারিকরণের ব্যবস্থা করছে। আগামীকাল সোমবার দিনব্যাপি হরতাল সফল করার জন্য পরে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করলে সাংসদ খন্দকার আসাদুজ্জামানের এপিএস সৈয়দ হাসানুল ইসলাম জানান, এমপি সাহেব মিডিয়ার সাথে কথা বলবেন না। মেহেরুন্নেছার পরিবর্তে গোপালপুর কলেজ যাতে সরকারিকরণ হয় এজন্য তিনি পুনরায় আরো একটি ডিও লেটার প্রধানমন্ত্রীর দফতরে পাঠাবেন। এর ফলে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে এমপি মহোদয়ের ভুল বুঝাবুঝির অবসান ঘটবে।