পাকিস্তানের পার্বত্য এলাকায় ঘাতক ড্রোনের হামলা এক নিয়মিত ব্যাপার। এ নিয়ে পাকিস্তানের জনগণের দুঃখ, আক্ষেপ, ক্ষোভ আর আর্তনাদ সীমাহীন। কিন্তু, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা ইউরোপের ক্ষমতাধর রাষ্ট্রগুলো মনে করে আসছে, তারা যা করছে তা ন্যায়সংগত ও নির্ভুল।
গত কয়েক বছরে ড্রোন হামলার হার বেড়েছে। হাজার হাজার নিরপরাধ মানুষ মারা যাচ্ছে। আহত হয়ে, পঙ্গু হয়ে বেঁচে থাকছে অগুনতি মানুষ। মার্কিন ক্ষমতার কাছে তুচ্ছ এসব মানুষ এবং তাদের আত্মীয়রা মাতম করে, বিচার চায় বিধাতার কাছে। ধরণীর বুকে কেউ তাদের দিকে হয়তো চেয়ে দেখে না। কিন্তু, বীভত্সতা তো ভয়ংকর। যারা মরে যায়, তারা হয়তো মুক্তি পায়; যারা বেঁচে থাকে, স্মৃতি তাদের পুড়িয়ে মারে মৃত্যু অবধি।
পাকিস্তানে মার্কিন ড্রোন হামলার বিরুদ্ধে দায়ের করা পাকিস্তানের আদালতে দায়ের করা দুটি মামলার সূত্রে ‘মেইল অন সানডে’ পত্রিকায় আজ রোববার এক প্রতিবেদন ছাপা হয়। প্রতিবেদনটিতে উঠে এসেছে ড্রোন হামলার শিকার একদল মানুষের তিক্ত অভিজ্ঞতা এবং মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর নির্মম আচরণ।
প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে ড্রোন হামলার বিচার চেয়ে আদালতে দাখিল করা নথিপত্র ঘেঁটে। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষেরাও তাদের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছে।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, ওই ড্রোন হামলায় শিক্ষক, ছাত্রসহ একজন পাকিস্তানি পুলিশ কর্মকর্তা মারা যান। বোমায় উড়ে যায় তাদের দেহের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ। কবর দেওয়ার আগে বাড়ির লোকেরা দেহের খণ্ডাংশ এক জায়গায় কুড়িয়ে আনে।
মামলার নথিপত্র জোগাড় করেছেন পাকিস্তানের ফাউন্ডেশন ফর ফান্ডামেন্টাল রাইটস এবং ব্রিটেনের মানবাধিকার সংস্থা রিপ্রাইভের সদস্য শাহনাজ আকবর। দুটি পৃথক মামলার শুনানির পর মামলায় অভিযুক্ত দুজন মার্কিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হতে পারে।