হাই কোর্ট গণমাধ্যমের সামনে গ্রেপ্তারকৃত বা সন্দেহভাজন হিসেবে আটক কোনো ব্যক্তিকে হাজির না করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি ফরিদ আহমেদ অন্তবর্তী সময়ের জন্য এ আদেশ দেন।ফৌজদারি কার্যবিধিতে করা একটি আবেদনের ওপর প্রাথমিক শুনানির পর আদালত এ নির্দেশ দেয়। একইসঙ্গে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এ বিষয়ে একটি অগ্রগতি প্রতিবেদন আদালতে জমা দিতে বিবাদিদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আইনজীবী আকিল-উজ-জামান গত সোমবার আবেদনটি দাখিল করেন। আদালতে তার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী একেএম শফিউদ্দিন।
আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীকে তাদের দায়িত্বের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে এবং গ্রেপ্তারকৃতদের গণমাধ্যমের সামনে হাজির করে বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত থাকতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে একটি রুল জারি করেছে হাই কোর্ট।
স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, র্যাব মহাপরিচালক ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনারকে দুই সপ্তাহের মধ্যে এর জবাব দিতে বলা হয়েছে।
সোমবার হাই কোর্টে শুনানিতে আবেদনকারীর আইনজীবী একেএম শফিউদ্দিন বলেন, কাউকে গ্রেপ্তার করার পর তাদের দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করার কোনো এখতিয়ার আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর নেই। আইনের বিধান হচ্ছে, অপরাধ সংগঠিত হওয়ার পর আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী সেটা দেখবে এবং দোষীদের আদালতে সোপর্দ করবে। আদালত শুনানিতে বলে, এটাতো মিডিয়া ট্রায়াল নয়। এটা মিডিয়া কনভিকশন।
পুলিশ, র্যাবসহ আইন শৃংখলা বাহিনী বিভিন্ন সময়ে গ্রেপ্তারকৃতদের বুকে নাম লেখা কাগজ ঝুলিয়ে সংবাদ সম্মেলন করলেও গত ১ ডিসেম্বর ব্যাগভর্তি ফেনসিডিল নিয়ে ভোলার জ্যেষ্ঠ সহকারী জজ জাবেদ ইমাম গ্রেপ্তার হওয়ার পর বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় আসে।
এ ঘটনায় গত ৩ ডিসেম্বর আদালতের এক আদেশে জাবেদ ইমামকে সাংবাদিকদের সামনে কথা বলতে বাঁধ্য করার বিষয়ে পাঁচ পুলিশের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। ব্যাখ্যা সন্তোষজনক না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যভস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন ঢাকার মহানগর হাকিম এম এ সালাম।