আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ মিশরের সেনাবাহিনী দেশের বিবদমান রাজনৈতিক শক্তিগুলোকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, আলোচনার মাধ্যমে তারা যদি নিজেদের মতবিরোধ দূর করতে না-পারেন তাহলে তার পরিণাম হবে মারাত্মক।
সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, মিশরকে যদি তাঁর ভাষায় একটা ‘অন্ধকার সুড়ঙ্গে’র দিকে টেনে নিয়ে যাওয়া হয়, তাহলে সেনাবাহিনী নীরব দর্শক হয়ে থাকবে না আর তারা সেটা হতেও দেবে না।
মিশরে ক্ষমতাসীন মুসলিম ব্রাদারহুড আর প্রতিপক্ষ বিরোধী জোটের মধ্যে গত কয়েকদিন ধরে যে সংঘাত চলছে, সেই সঙ্কটে এই প্রথম সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে নিজেদের মতামত প্রকাশ করা হল।
যদিও এর আগেই তারা কায়রোতে প্রেসিডেন্ট মরসির প্রাসাদের বাইরে ট্যাঙ্ক পাঠিয়েছিল, সেই ট্যাঙ্ক এখনও সেখানে মোতায়েন রয়েছে।
তবে আজ যে ভাষায় সেনাবাহিনী তাদের বিবৃতি দিয়েছে, তার পর পরই এই আশঙ্কা ছড়িয়ে পড়েছে যে তারা হয়তো পরিস্থিতিতে হস্তক্ষেপ করে নিজেদের হাতে ক্ষমতা তুলে নিতে পারে।
এর আগে প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারকের পতনের পরও সেনাবাহিনী ঠিক একই জিনিস করেছিল।
তবে বিবৃতি জারির পরই সেনাবাহিনীর ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো জোর দিয়ে বলেছে যে এখনই তাদের ক্ষমতা হাতে তুলে নেওয়ার কোনও অভিপ্রায় নেই।
এমন কী, শাসক মুসলিম ব্রাদারহুডের শীর্ষস্থানীয় এক কর্মকর্তাও সেনা-বিবৃতিকে স্বাগত জানিয়েছেন – তিনি এটিকে ভারসাম্যযুক্ত ও নিরপেক্ষ বিবৃতি বলেও বর্ণনা করেছেন।
তবে সরকারি সংবাদমাধ্যমে ইতিমধ্যেই রিপোর্ট করা হয়েছে যে প্রেসিডেন্ট মরসি সেনাবাহিনীর হাতে নতুন ক্ষমতা তুলে দিতে চলেছেন – যাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় তারা পুলিশকে সহায়তা করতে পারে!
[বাংলাদেশ টাইমস। সুত্র- বিবিসি নিইউজ/ছবি- ইন্টারনেট]