ঋণের চক্র থেকে বেরিয়ে আসার বিষয়ে তেমন সক্রিয়তা দেখা যাচ্ছে না মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর কর্মকাণ্ডে। পত্রকোষ ব্যবস্থাপনার চেয়ে ঋণ-ব্যবসার সঙ্গেই নিজেদের বেশি সম্পৃক্ত করে রেখেছে প্রতিষ্ঠানগুলো।
অথচ নিবন্ধন শর্ত অনুসারে পত্রকোষ ব্যবস্থাপনা, ইস্যু ব্যবস্থাপনা ও অবলেখনকারী (আন্ডাররাইটার) প্রতিষ্ঠান হিসেবে কর্মকাণ্ড পরিচালনার সুস্পষ্ট বিধান রয়েছে আইনে। আর সরাসরি ঋণ-ব্যবসার বিষয়টি প্রধান না হলেও দেখা যাচ্ছে, মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো ঋণ-ব্যবসাকেই প্রধান কাজ হিসেবে বেছে নিয়েছে।
মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর ঋণ-পরিস্থিতির সর্বশেষ পূর্ণাঙ্গ উপাত্ত রয়েছে জুলাই মাস পর্যন্ত। সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) তথ্যানুসারে, জুলাই মাস শেষে এ প্রতিষ্ঠানগুলোর বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় পাঁচ হাজার ৫৯২ কোটি টাকায়। ৭৩ হাজার ২৩৮টি গ্রাহক হিসাবের বিপরীতে এ ঋণ বিতরণ করা হয়েছে।
অথচ চলতি বছরের জানুয়ারি শেষে এর পরিমাণ ছিল প্রায় পাঁচ হাজার ৩৪৫ কোটি টাকা। সেই হিসাবে গত ছয় মাসের ব্যবধানে শেয়ারবাজারে প্রান্তিক ঋণের পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ২৪৭ কোটি টাকা।
সরাসরি গ্রাহকের হিসাবের বিপরীতে ২৮টি মার্চেন্ট ব্যাংক এ ঋণ বিতরণ করেছে। সম্মিলিতভাবে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর বিতরণ করা বিপুল পরিমাণ অর্থ অনাদায়ী ঋণে পরিণত হয়ে আছে। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে।