নিজস্ব প্রতিবেদক :
গোপালপুর উপজেলার নবগ্রাম মসজিদ ঘাটে বৈরান নদীর উপর ব্রীজ না থাকায় নগদাশিমলা ইউনিয়নের তিন গ্রামের মানুষ নিদারুন দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। গ্রাম তিনটি হচ্ছে নবগ্রাম, জামতৈল ও গোলাবাড়ি। জানা যায়, এ ঘাটে ব্রীজের জন্য তিন গ্রামের মানুষ দীর্ঘ দিন আন্দোলন করেছে। দাবির মুখে এলজিইডি নদীর এ পয়েন্টে ব্রীজ নির্মানে কোটি টাকা বরাদ্দও দেয়। কিন্তু ঘাটের ব্রীজ নির্মিত হয় অঘাটে। গ্রামবাসিদের অভিযোগ, দুইশ বছরের পুরনো ঘাট যেখানে সেখানে এলজিইডি কোটি টাকার ব্রীজ নির্মানের সিদ্ধান্ত নেয়। ঘটা করে ব্রীজের ভিত্তিপ্রস্তর ও স্থাপন করা হয়। কিন্তু রাজতৈনিক বিরোধীতার দরুন জনবহুল ঘাট বাদ দিয়ে এক কিলো উজানে রাস্তাবিহীন নির্জন স্থানে ২০০০ সালে নির্মিত হয় ঐ ব্রীজ। কিন্তু ব্রীজের উভয় পাড়ে সংযোগ সড়ক না থাকায় এক যুগ ধরে ব্রীজটি অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এলজিইডির স্থানীয় কর্মকর্তারা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, ব্রীজটি চালু করতে একদেড় কিলো নতুন রাস্তা বানাতে হতো। এতে ১০/১৫ একর আবাদী জমি বিনষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় গ্রামবাসিরা প্রতিবাদে নামে। এমতাবস্থায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয় ব্রীজের উভয় পাড়ে নতুন রাস্তা নির্মানে বাড়তি ৪০/৫০ লক্ষ টাকা বরাদ্দে রাজী হয়নি। বিলডগা গ্রামের খাদেম আলী জানান, মানুষ পারাপার না হওয়ায় ব্রীজটি বখাটে ও মাদকসেবিদের আস্তানা। জামতৈল গ্রামের আব্দুল লতিফ জানান, বহু আন্দোলন-সংগ্রামে পাওয়া ব্রীজটি ঘাট ছেড়ে অঘাটে নির্মান করায় কেউ সুফল পাচ্ছেনা। ব্রীজটি এখন শিয়ালের আস্তানায় পরিণত হয়েছে। এমতবস্থায় জামতৈল গ্রামের মানুষ নিজ ব্যয়ে বর্ষাকলে দ্বিতল সাঁকোয় আর শুকনো মৌসুমে একতলা সাঁকোতে নদী পার হয়।
সম্পাদক : অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন | নির্বাহী সম্পাদক : কে এম মিঠু
প্রকাশক কার্যালয় : বেবি ল্যান্ড, বাজার রোড গোপালপুর, টাঙ্গাইল -১৯৯০, বাংলাদেশ।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত - ২০১৯-২০২৩