বাংলাদেশ টাইমসঃ লন্ডনের দ্য ইকোনোমিস্ট পত্রিকার বিরুদ্ধে গত বৃস্পতিবার ট্রাইব্যুনালের দেয়া আদেশ বিষয়ে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেন, ট্রাইব্যুনালের বিচারপতিরা আইন দেখে তাদের প্রজ্ঞা দিয়ে আদেশ দেন। সে বিষয়ে আলোচনা করার অবকাশ নেই। ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন বিষয় নিয়ে মন্তব্য করা ঠিকও হবে না। তবে ট্রাইব্যুনাল যেভাবে ডিরেকশন দেবে সরকার সেভাবে পদক্ষেপ নেবে বলেও জানান তিনি। শনিবার বৃটিশ কাউন্সিল অডিটোরিয়ামে বৃটিশ কাউন্সিল, ম্যাক্সওয়েল স্ট্যা¤ক্স পিএলসি এবং সিইডিআর আয়োজিত ‘জাস্টিস সেক্টর ফ্যাসিলিটি’কর্মশালার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেন, ফতোয়ার নাম দিয়ে নিজে বিচারকের ভূমিকা নিয়ে কাউকে বিচার করা যাবে না। অর্থাৎ ফতোয়ার দোহাই দিয়ে আইন হাতে নিয়ে কোনো ব্যক্তিকে শাস্তি দেয়া যাবে না।
তিনি বলেন, ফাতোয়ার নামে কাউকে শাস্তি দেয়ার বিষয়টি উচ্চ আদালত নিষেধ করে দিয়েছেন।
ফতোয়া দেয়া যাবে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে আইনমন্ত্রী বলেন, যারা কোয়ালিফাইড তারা ফতোয়া দিতে পারবেন, তবে কোনো রূপ শাস্তি দিতে পারবে না।
জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা হবে কিনা জানতে চাইলে এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
এ ছাড়া মন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, যেকোনো মামলার রায় দ্রুত করার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বিচারপ্রার্থী ব্যক্তিরা যাতে অল্প সময় বিচার পায়। বিশেষ করে নারীদের বিচার পেতে যাতে কোনো অসুবিধা না হয় সে বিষয়ে খেয়াল রাখা হয়েছে। দরিদ্রদের জন্য রাষ্ট্রীয় খরচে আইনজীবী নিয়োগের সুযোগ করে দেয়া হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, ফৌজদারী আইন সংশোধন হলে দ্রুততম সময়ে মামলা নিষ্পত্তি হবে এবং দীর্ঘ দিন যারা বিনা বিচারে কারাবাস করছেন। ওই সব কয়েদির সংখ্যা কমে আসবে।
সমাজের পিছিয়ে পড়া সুবিধা বঞ্চিত ও গরিব জনগোষ্ঠীকে বৃটিশ সরকারের অর্র্থায়নে কমিউনিটি লিগ্যাল সার্ভিস প্রজেক্টের মাধ্যমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ১০ মিলিয়ন নারী, সংখ্যালঘু, প্রতিবন্ধীসহ পিছিয়ে পড়া ও বঞ্চিত লোকদের আগামী ৫ বছরের মধ্যে তাদের আইনি সহায়তা দেয়ার কথা বলা হয় আয়োজক সংগঠন থেকে।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, ডিএফআইডি বাংলাদেশের কান্ট্রি প্রতিনিধি মিসেস সারাহ কুকি, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের চেয়ারপারসন ড. হামিদা হোসাইন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্য ফাওজিয়া করিম ফিরোজ প্রমুখ। [বাংলাদেশ তাইমস/মুহ/ঢাকা]