কুমিল্লা মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীরা পৃথক পৃথকভাবে মিছিল করে। নগরীর বেশ কয়েকটি যায়গায় অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর ও নগরীর বিভিন্ন স্থানে পিকিটিং করে। এসময় পুলিশের সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয় জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের সাথে। পিকিটিংয়ের সময় পুলিশ জামায়াত-শিবিরের ৭ নেতাকর্মীকে আটক করে। পিকেটাররা সদর হাসপাতাল রোড থেকে কান্দিরপাড়ের দিকে মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় ২টি ট্রাকের গ্লাস ভাঙচুর করে। এ সময় পিকেটাররা কান্দিরপাড় এলাকায় টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করে রাখে। এদিকে, সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের আলেখারচর ও হারাতলীতে পিকেটাররা রাস্তায় টায়ারে আগুন দেয়। একটি পিকআপ ভ্যান ভাঙচুর করে রাস্তায় দাঁড় করিয়ে যান চলাচলে ব্যারিকেড সৃষ্ঠি করে রাখে। পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে রাস্তা থেকে পিকআপ ভ্যান গাড়িটি সরিয়ে যানচলাচল সচল করে। এসময় ঘটনাস্থল থেকে কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। এদিকে নগরীরর কাসেমূল উলুম মাদ্রাসার সামনে পিকিটিং করার সময় কোতয়ালী থানার এস.আই জসিম পিকেটারদের ধাওয়া করে। পিকেটারদের না পেয়ে পুলিশ জামায়াত-শিবির সন্দেহে কুমিল্লা রেসিডেন্সিয়াল স্কুল ও স্কুল নিয়ন্ত্রণাধিন রাবেয়া বসরী ছাত্রীনিবাসে তল্লাসী চালায়। পুলিশের তল্লাসী সম্পর্কে ছাত্রীনিবাসের হোস্টেল সুপার শাহিনুর আক্তার দৈনিক পূর্বাশাকে জানান, পুলিশ সম্পূর্ন অন্যায়ভাবে ছাত্রীনিবাসে ঢুকে পড়ে। এতে করে ছাত্রীরা আতংকিত হয়ে পড়ে। এখানে ছাত্রীরা পড়ালেখা করতে আসছে। তিনি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।