আগামী বছর ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশব্যাপী শুরু হবে এসএসএসি, দাখিল ও এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষা। আটটি সাধারণ, একটি মাদ্রাসা ও একটি কারিগরি মোট ১০ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিতব্য এ পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ সময়সূচী রবিবার চূড়ান্ত করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে (www. dhakaeducationboard.gov.bd) আট বোর্ডের এসএসসি পরীক্ষার সময়সূচী পাওয়া যাবে। এছাড়া স্ব স্ব শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটেও সময়সূচী পাবেন পরীক্ষার্থীরা। মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ডের ওয়েবসাইটে তার অধীন দাখিল ও এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষার সময়সূচী আজকালের মধ্যেই পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন বলেছেন, সকল বোর্ডের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার সময়সূচী চূড়ান্ত হয়েছে। বোর্ডের ওয়েবসাইটে এটি পাওয়া যাবে। সময়সূচী অনুসারে বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষার মধ্য দিয়ে ৩ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে লিখিত পরীক্ষা। ৫ মার্চ লিখিত পরীক্ষা শেষ হবে। এর পর ৬ মার্চ থেকে ১৮ মার্চ পর্যন্ত চলবে ব্যবহারিক পরীক্ষা।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এসএম ওয়াহিদুজ্জামান বলেছেন, ৮ বোর্ডের এসএসসি সময়সূচী যেহেতু একই তাই যে কেউ ঢাকা বোর্ডের ওয়েবসাইট থেকেই এটি জানতে পারবেন। এদিকে জানা গেছে, পরীক্ষার মাঝে কম বিরতি দিয়ে পরীক্ষা নেয়ায় চলতি বছরের পরীক্ষার আগে দেশব্যাপী আন্দোলন শুরু করেছিল শিক্ষার্থীরা। তবে বেশি আপত্তি তুলেছিল বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরাই। পরে অবশ্যই সময়সূচী সংশোধন করা হয়। তবে এবার সর্বিক বিষয় মাথায় রেখেই আগামী বছরের জন্য সময়সূচী তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। আগামী বছরের এ পরীক্ষায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণ এখনও শুরু হয়নি। চলতি মাসেই শুরু হবে। ফরম পূরণ হওয়ার পরই পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বের হয়ে আসবে বলে কর্মকর্তারা জানালেন।
উল্লেখ্য চলতি বছর ১০টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ১৪ লাখ ১২ হাজার ৩৭৯ শিক্ষার্থী। সারাদেশের দুই হাজার ৪৬৪টি কেন্দ্রে এবার এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ পরীক্ষার ফলে এবার ইতিহাসের সকল রেকর্ড ভেঙ্গে সৃষ্টি হয় নতুন রেকর্ড। পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তি থেকে শুরু করে ফলের প্রতিটি সূচকেই শিক্ষার্থীদের সাফল্য ছিল রীতিমতো আকাশচুম্বী। পাসের হার ছিল ৮৬ দশমিক ৩৭ শতাংশ। ৮টি সাধারণ, একটি কারিগরি ও একটি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে ১৪ লাখ ১২ হাজার ৩৭৯ পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করে ১২ লাখ ১৯ হাজার ৮৯৪ জন। জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৮২ হাজার ২১২ জন।