আলবিসেলেস্তেদের হয়ে ৮৩টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা মেসি ২০০৬ ও ২০১০ বিশ্বকাপেও দেখা গেছে। কিন্তু ওই দুটি আসরেই সেরা ফর্মের মেসিকে পায়নি আর্জেন্টিনা। সমালোচনার শুরুটাও তখন থেকেই যে দেশের হয়ে অতটা মন লাগিয়ে খেলেন না মেসি। কিন্তু তাঁর নিজের দাবি, বিশ্বকাপ সাফল্যের বিনিময়ে ব্যক্তিগত সব অর্জনই বিসর্জন দিতে তৈরি তিনি, 'সব সমালোচনাই মুখ বুঝে সয়েছি। তারা (সমালোচক) বলেছে যে আমি নাকি জাতীয় দলের ব্যাপারে সিরিয়াস না। আমি জাতীয় সংগীত গাইনি, আর্জেন্টিনার শার্টের প্রতি আমার কোনো দরদ নেই। আর এ কথাগুলোই কিনা শুনতে হলো নিজের দেশের লোকেদের মুখে! অবান্তর এসব আক্রমণ আমাকে আহত করে।'
স্প্যানিশ দৈনিক 'মার্কা'কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আর্জেন্টিনিয়ানদের আশ্বস্ত করেছেন মেসি, 'আর্জেন্টিনা আমার দেশ, আমার পরিবার, আমার নিজেকে মেলে ধরার একমাত্র মাধ্যম। এ দেশটার মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য আমি আমার সব অর্জন বিসর্জন দিতে পারি।' এতেও যদি কেউ আশ্বস্ত না হয়, তাহলে তার জন্য মেসির জানানো এ তথ্যটিই যথেষ্ট, 'বার্সেলোনার একাডেমিতে যখন ছিলাম, তখনই জাতীয় বদলে স্পেনের হয়ে খেলার প্রস্তাব পেয়েছিলাম। কিন্তু আমি সব সময়ই আর্জেন্টিনার হয়ে খেলতে চেয়েছি। আর্জেন্টিনাকে আমি ভালোবাসি, পতাকার রংটার প্রতি অন্য রকম একটা টান অনুভব করি।'
সুসময় ও দুঃসময়ে আর্জেন্টিনার পাশে থাকার অঙ্গীকারও রয়েছে মেসির সবশেষ সাক্ষাৎকারে, 'দল আমাকে যখন যেখানে দরকার মনে করবে, আমি সেখানেই হাজির হব। আমি আজকের মেসি হওয়ার পেছনে অবদান রাখার জন্য জাতীয় দলের প্রতি চিরকৃতজ্ঞ থাকব।' এএফপি
সম্পাদক : অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন | নির্বাহী সম্পাদক : কে এম মিঠু
প্রকাশক কার্যালয় : বেবি ল্যান্ড, বাজার রোড গোপালপুর, টাঙ্গাইল -১৯৯০, বাংলাদেশ।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত - ২০১৯-২০২৩