আজ || রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫
শিরোনাম :
  অপহরনের ৭ ঘন্টার মধ্যে পুলিশের সহায়তায় উদ্ধার হলো গোপালপুরের আসলাম       সেবা বন্ধ রেখে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করলো গোপালপুর নির্বাচন অফিস       হৃদয়কে শহীদি মর্যাদার দাবিতে গোপালপুরে মানববন্ধন       গোপালপুরে ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন       কাকাতালীয়ের বয়ান       রমজান মাসে রোজা ও দান-সদকার ফজিলত       গোপালপুরে রমজানের পবিত্রতা রক্ষার দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল       গোপালপুর পাবলিক ক্লাব ও গ্রন্থাগারের বার্ষিক বনভোজন অনুষ্ঠিত       গোপালপুরে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত       লাইটহাউজ স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত    
 


কিডনি সমস্যা, কিডনি অকেজো হবার লক্ষন

বাংলাদেশ টাইমস ডেস্কঃ আমাদের দুটি কিডনি দেখতে সীম আকৃতির, প্রায় হাতের মুষ্টির সমান। এ দুটোর অবস্থান পিঠের প্রায় মধ্যভাগে, পঞ্জরাস্থির নীচে। এগুলো রক্ত পরিষ্কার করে। এছাড়াও কিডনি প্রয়োজনীয় যৌগ রেখে দিয়ে বর্জ্য পদার্থ এবং অতিরিক্ত তরল পদার্থ দেহ থেকে বের করে দেয়। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ এবং লোহিত রক্তকণিকার পরিমাণ ঠিক রাখতে ভূমিকা রাখে এটি। কিডনি প্রতি ৩০ মিনিটে একবার দেহের রক্ত পরিষ্কার করে।
কিডনি ব্যর্থতার ধরন: ঠিকমত বর্জ্য অপসারণ করতে না পারলে কিডনির ব্যর্থতা (করফহবু ভধরষঁৎব) ঘটে। ফলে দেহের মধ্যে বর্জ্য ও বাড়তি তরল জমতে থাকে। রক্ত ও প্রস্রাব পরীক্ষার মাধ্যমে চিকিৎসক কিডনির ব্যর্থতা শনাক্ত করতে পারবেন।

একিউট কিডনি ব্যর্থতা: সহসাই ঘটতে পারে এটা। প্রবল সংক্রমণ, ওষুধ কিংবা অন্যান্য রাসায়নিক এজেন্টের কারণে এ রকম ঘটতে পারে। অভ্যন্তরীণ কারণের সফল চিকিৎসা হলে কিডনি পুরোপুরি ভালো হয়।

পুরনো কিডনি ব্যর্থতা: দীর্ঘ সময় ধরে গড়ে উঠে এই অবস্থা। এর ফলে ওজন কমে যাওয়া, রক্তশূন্যতা, বমনেচ্ছা, বমি, ক্লান্তি, মাথাব্যথা, বুদ্ধিবৃত্তির লোপ, পেশীতে ব্যথা ও খিঁচুনি, ত্বকের রং হলদেটে বাদামি হয়ে যাওয়া, অস্বাভাবিক চুলকানি, ঘুমে ব্যাঘাত ইত্যাদি ঘটে।
শেষ পর্যায়ের কিডনি ব্যর্থতা: এর ফলে রক্তশূন্যতা, উচ্চ রক্তচাপ, হাড়ে সমস্যা, হ�দ ব্যর্থতা, মানসিক বিপর্যয় ইত্যাদি ঘটে।
কিডনি ব্যর্থতার চিকিৎসা: কিডনির কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেলে ডায়ালাইসিস করা হয়। হেমোডায়ালাইসিস পদ্ধতিতে একটি যন্ত্রের সাহায্যে রক্ত প্রেরিত হয়। এই যন্ত্র বর্জ্য পরিচ্ছন্ন করে এবং নির্মল রক্ত দেহে ফেরত পাঠায়। পেরিটোনিয়াল ডায়ালাইসিস পদ্ধতিতে ডায়ালাইসেট নামক তরল পেটে প্রেরিত হয়। এটি রক্ত থেকে বর্জ্য সংগ্রহ করে দেহের বাইরে পাঠায়।

প্রতিস্থাপন:এটি হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্ত কিডনি অপসারণ করে এর বদলে দাতার পক্ষ থেকে পাওয়া নতুন কিডনি প্রতিস্থাপন পদ্ধতি। এ জন্য বড় ধরনের শল্যচিকিৎসা করতে হয়। দেহ এই বহিরাগত কিডনি প্রত্যাখ্যানও করতে পারে। এ ধরনের প্রত্যাখ্যান ঠেকাতে আজীবন ওষুধ খেয়ে যেতে হয়।

প্রস্রাবে ব্যথা কিংবা জ্বালাপোড়া হলে, বারবার প্রস্রাবের বেগ হলে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করুন। এ ছাড়া প্রস্রাব কালো হলে, জ্বর কিংবা শৈত্যের অনুভূতি হলে, পিঠে কিংবা দেহের উভয় পার্শ্বে পঞ্জরাস্থির নীচে ব্যথা হলে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন। উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিসের সুচিকিৎসা হলে কিডনির রোগ নির্বারিত হতে পারে।
[টাইমস হেলথ]

মন্তব্য করুন -


Top
error: Content is protected !!