অপরাধ কমানোর জন্য মুখমন্ডল শনাক্তকরণ প্রযুক্তি ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মার্কিন নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান এফবিআই। পুরো দেশে এ কার্যক্রম চালু করার জন্য প্রতিষ্ঠানটিকে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দেয়া হয়েছে। আগামী প্রজন্মের চিহ্নিতকরণ (এনজিআই) নামে পরিচিত প্রকল্পটি চালু করার অনুমোদন বর্তমানে বেশ কয়েকটি রাষ্ট্র দিয়েছে বলে জানিয়েছে দ্যা নেক্সট ওয়েব। তবে নিউ সায়েন্স ম্যাগাজিন সূত্রে জানা গিয়েছে সবচেয়ে ভালো অ্যালগোরিদম ১.৬ মিলিয়ন মাগশট থেকে ৯২ শতাংশ সঠিক লোককে বেছে নিতে সক্ষম। এমনকি সরাসরি ক্যামেরার দিকে না তাকালেও এই প্রযুক্তি অপরাধীকে চিহ্নিত করতে পারে। কার্নেগী মেলনের মারিওস সাউইডস ল্যাবে ডেভেলপ করা এই অ্যালগরিদমটি মাগশট থাকা সামন এবং পার্শ্ব ছবি থেকেই মুখের একটি ত্রিমাত্রিক মডেল তৈরি করতে পারে, আসল ছবির সাথে মিলিয়ে দেখার জন্য ৭০ ডিগ্রিতে ঘোরাতে পারে এবং তারপর অত্যন্ত দক্ষতার সাথে দ্বিমাত্রিক ছবির সাথে মিলিয়ে দেখতে সক্ষম। এছাড়া স্বল্প আলোয় তোলা ছবিকে ইনফ্রারেড স্পেকট্রার মাধ্যমে ছবিগুলোকে শার্প করা সম্ভব। সিস্টেমটি অত্যাধুনিক বায়োমেট্রিক শনাক্তকরণ পরিসেবা এবং অবকাঠামোটি নমনীয় হবার কারণে ভবিষ্যতে এর সাথে অন্যান্য সুবিধা যুক্ত করা যাবে। সিস্টেমটি পুরানো অপরাধীদের চিহ্নিত করার জন্য ডিএনএ বিশ্লেষণ, আইরস স্ক্যান এবং ভয়েস আইডেন্টিফেকিশন এর মতো প্রযুক্তি ব্যবহার করবে। এফবিআই প্রযুক্তিটিকে পাবলিক ক্যামেরার মাধ্যমে দেশের প্রতিটি রাস্তায় পৌঁছে দিতে চায়। এই ক্যামেরাগুলো রাস্তার প্রতিটি মানুষের মুখ পর্যবেক্ষণ করবে এবং অপরাধীদের সাথে মিলিয়ে দেখবে। এফবিআই এর দাবি এর মধ্যে তারা-জনগণের নিরাপত্তা এবং রাষ্ট্রের নিরাপত্তা রক্ষা, বায়োমেট্রিক প্রযুক্তিতে প্রাধান্য, দক্ষতা বৃদ্ধি, গোপনীয়তা এবং তথ্য নিরাপত্তা, স্মুথ ট্রানজেকশন প্রকল্পটি এফবিআই এর অংশভুক্ত স্বয়ংক্রিয় আঙুলের চাপ শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া সেবার সম্প্রসারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।