পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে ইসরায়েলের ৩ হাজার নতুন বাড়ি নির্মানের অনুমোদন দেওয়ার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন।হোয়াইট হাউস ইসরায়েলের বসতি সম্প্রসারণের এ পরিকল্পনাকে “হটকারী” বলে মন্তব্য করেছে। এ ব্যাপারে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন জানান, ইসরায়েলের এ সিদ্ধান্তের ফলে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন শান্তি প্রক্রিয়া থেকে দূরে সরে যাবে।জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের ‘পর্যবেক্ষক রাষ্ট্রের’ মর্যাদা পাওয়ায় পর ইসরায়েল বসতি সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমের কিছু এলাকা ইসরায়েল দখল করার পর থেকেই সেখানে পাঁচ লাখ ইসরায়েলি বাস করছে। আন্তর্জাতিক আইনে দখলকৃত এলাকায় ইসরায়েলিদের বসবাসকে অবৈধ বলা হলেও ইসরায়েল তা মানতে নারাজ।
এদিকে, ইসরায়েলের বসতি স্থাপনের সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধীতা করেছে ফিলিস্তিনিরা। ফিলিস্তিনিরা জানায়, বসতি স্থাপনের ফলে পশ্চিম তীর জেরুজালেমের মূল অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে।বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কে সাধারণ পরিষদের এক বৈঠকে ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র করে নেওয়ার পক্ষে ভোট দেয় ১৩৮টি সদস্য দেশ। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র করে নেওয়ার তীব্র বিরোধীতা করে।জাতিসংঘের ১৯৩ টি সদস্যদেশের মধ্যে ৪১ টি সদস্যদেশ ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকে। আর যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলসহ মাত্র ৯ টি দেশ ফিলিস্তিনি দাবির বিরোধীতা করে ভোট দেয়।ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র করার পক্ষে সদস্যদেশগুলোর সংখ্যাগরিষ্ঠ রায়কে “নেতিবাচক রাজনৈতিক পদক্ষেপ” ও “নিরাপত্তার জন্য হুমকি” বলে জানান ইসরায়েল সরকারের মুখপাত্র মার্ক রেজেভ।সাধারণ পরিষদের ভোটকে দূর্ভাগ্যজনক ও নেতিবাচক হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন।